জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডে উপজেলার জোড়াদহ গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এর নারীকে চার মাস ধরে ধর্ষন করছে ফারুক হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী। ধর্ষনের ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় আনোয়ারা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাতও ঘটনো হয়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে শনিবার সন্ধ্যার দিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই নারী হরিণাকুন্ডু থানায় একটি ধর্ষন মামলা করেন। মেশিনারিজ ব্যবসায়ী ধর্ষক ফারুক হোসেন হরিণাকুন্ডুর জোড়াদহ গ্রামের তাইজাল হোসেনের ছেলে। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, ফারুকের দোকানে ধর্ষিতার ৯ বছরের ছেলে মাজিজুল হক কাজ করতো। সেই সুবাদে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল ফারুকের। ধীর্ঘদিন যাতায়াতের এক পর্যায়ে ফারুক ওই প্রতিবন্ধি নারীর সাথে শ্যালিকা সম্পর্ক স্থাপন করে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লে লম্পট ফারুক তাকে উপজেলার আইজুদ্দিন মোড়ের কুসুমের ক্লিনিকে গর্ভপাত ঘটায়। বিষয়টি জানা জানি হয়ে পড়লে ফারুক অর্থের বিনিময়ে সবাইকে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়। গর্ভপাতের ফলে প্রতিবন্ধি ওই নারীর রক্তক্ষরন শুরু হলে চার মাস ধরে তাকে ধর্ষনের বিষয়টি পুলিশের কানে চলে যায়। হরিণাকুন্ডু উপজেলার আইজুদ্দিন মোড়ে আনোয়ারা প্রাঃ হাসপাতালের মালিক কুসুম জানান, একটি প্রতিবন্ধি নারী বিøডিংজনিত কারনে তার ক্লিনিকে এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জোড়াদহ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি কামরুজ্জামান জানান, লোকমুখে শুনেছি প্রতিবন্ধি এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধর্ষিত ওই নারীর ভাই শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন দীর্ঘদিন ধরে তার বোনকে ধর্ষণ করে আসছে ফারুক। তিনি আরো জানান তার বোন ৬ মাসের অন্তসত্ত¡া হয়ে পড়লে হরিণাকুন্ডুর আনোয়ারা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, প্রতিবন্ধি নারীর অভিযোগ শনিবার সন্ধ্যায় এজাহার হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে। ধর্ষক ফারুক পলাতক রয়েছে। আশা করি দ্রæত গ্রেফতার হবে।