নিউজ ডেস্ক:
কর্মক্ষেত্রে নারীদের প্রবেশ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অফিসে আসার পথে রাস্তা-ঘাটে, যানবাহনে নারীরা এখন প্রায়ই হয়রানি বা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ফলে তারা এখন এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা বা আশঙ্কার মধ্যে আছেন। এ থেকে উত্তরণের পথ অন্যদের পাশাপাশি নারীদেরকে বের করতে হবে। হয়রানির শিকার হওয়ার মুহূর্তে সঙ্গে যা থাকে তা দিয়েই কখনো কখনো পরিস্থিতি সামাল দেয়া যেতে পারে। নিচে হয়রানি থেকে বাঁচতে নারীদের জন্য তেমনই কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :
সঙ্গে কী কী রাখবেন : রাস্তা-ঘাটে হঠাৎ আক্রমণকারীকে রুখতে বডি স্প্রে সম্ভব হলে পেপার স্প্রে নিজেদের ব্যাগে রাখা খুব জরুরি। যখনই বুঝতে পারবেন অবস্থা বেগতিক ব্যাগ থেকে স্প্রে বের করে হাতে রাখুন। আক্রমণকারী সামনে এলেই চোখের ওপর স্প্রে করুন। এতে সটকে পড়বে হামলাকারীরা।
কলমজাতীয় কিছু : ডট পেন বা ফাউন্টেন পেন যাই সঙ্গে থাকুক আচমকা কলমের সরু নিব ফুটিয়ে দিন শরীরের সংবেদনশীল কোনো অংশে। চোখ বা মুখ মণ্ডলের কোনো অংশে বিশেষ করে নাকের আশেপাশে ফোটানোর চেষ্টা করুন।
মরিচ গুঁড়ো : ছোটো একটি কৌটোয় গোল মরিচ গুড়ো রাখুন ব্যাগে। কেউ আক্রমণ করতে এলেই সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে দিন চোখে। অন্তত কিছু ক্ষণের জন্য আপনি নিশ্চিন্ত। এই সময়ের মধ্যে রাস্তা বদল করে ফেলুন।
পিপার নাইফ : বটল ওপেনার পিপার নাইফ, নেল কাটারের হ্যান্ডি সেট কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। এমনই কিছু জিনিস কিনে ব্যাগে রাখুন। আত্মরক্ষার জন্য ছুরি দিয়ে আচমকা আঘাত করুন। আঘাত করতে না পারলেও ছুরি বের করে অন্তত ভয় দেখানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
থুতু নিক্ষেপ করুন : আচমকা চোখে-মুখে থুতু ছিটিয়ে দিলেও হামলাকারী কিছুক্ষণের জন্য হকচকিয়ে যাবে।
কামড় : যদি পিছন থেকে হামলা হয় তবে হামলাকারীর হাত গলার কাছে থাকলে সজোরে কামড় বসান। কোমরের কাছে থাকলে খিমচে দিন।
স্মার্টফোন অ্যাপ : হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে অ্যাপের সাহায্য নিন। এর মাধ্যমে লোকেশস ট্র্যাকারের সাহায্যে পরিবার, বন্ধুদের তাৎক্ষণিক জানান যে আপনি বিপদে পড়েছেন।
চিৎকার করুন : জোরে চিৎকার করুন। হামলাকারী হুমকি দিলেও একবার অন্তত চিৎকার করুন। এতে আশপাশ থেকে কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে পারে।
রাস্তা বদল করুন : যদি বুঝতে পারেন কেউ পিছু নিয়েছে তাহলে প্রথমেই পায়ের গতি বাড়ান। যে ফলো করছে তা সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেই রাস্তা বদল করুন।
সতর্ক থাকুন : রাস্তায় হাঁটার সময় ফোনে কথা বলা বা কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। তা পরিহার করার চেষ্টা করুন।