আলমডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে পুলিশের বাগবিত-া
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার শ্রীনগরের রাস্তার একটি কাটা শিশুগাছ জব্দ করেছে পুলিশ। কদিন আগে শ্রীনগরের রাস্তায় ঝড়ে পড়ে যাওয়া সরকারি ওই গাছটি এক ব্যক্তি কেটে এনে ‘স’ মিলে ফেলে রাখেন। সংবাদ পেয়ে জামজামি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাটা এ গাছটি জব্দ করেন। এদিকে এ গাছের বিষয়ে জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জানান, জনদুর্ভোগের কারণে গাছটি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নের শ্রীনগরের রাস্তার একটি শিশুগাছ কিছুদিন আগে ঝড়ে পড়ে যায়। দুই দিন আগে মধুপুর গ্রামের মৃত সাদেক ম-লের ছেলে কাঠ ব্যবসায়ী সোহরাব ব্যাপারী পড়ে থাকা ওই গাছের গুড়ি কেটে জামজামির ভাদু ম-লের ‘স’ মিলে নিয়ে যান। সরকারি রাস্তার এ গাছ কাটার সংবাদ জানার পর আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি বিষয়টি জামজামি ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমানকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ ‘স’ মিলে গিয়ে শিশুগাছের গুড়ির কাটা চারটি অংশ দেখতে পান।
এ সময় জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানান, ‘রাস্তার ধারে পড়ে থাকা গাছটির কারণে ব্যাপক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জনস্বার্থে গাছটি কেটে আমি ইউনিয়ন পরিষদে রাখতে বলেছিলাম। কিন্তু সোহরাব ভুল করে মিলে রেখে আসে। এ গাছ বিক্রি করার জন্য রাখা হয়নি।’ এদিকে এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফাঁড়ির ইনচার্জের বাগবিত-া সৃষ্টি হয়। পরে আইসি আনিসুজ্জামান ‘স’ মিলে রাখা গাছটি জব্দ করেন।