নিউজ ডেস্ক:মহাসড়কে রাস্তা পার হতে গিয়ে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নবীননগর আটমাইল নামকস্থানে মহাসড়কের রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসচাপায় শোভন (৭) নামের ওই শিশুর মৃত্যু হয়। শোভন তিতুহদ ইউনিয়নের ছোট আড়িয়া গ্রামের খবির উদ্দীনের ছেলে।
জানা গেছে, দাদির সঙ্গে নানা বাড়িতে মায়ের কাছে যাওয়ার পথে কুতুবপুর ইউনিয়নের নবীননগর গ্রামের নায়েব আলীর নাতি শোভন গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাসের ধাক্কায় আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন শোভনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পখের মধ্যে শিশু শোভনের মৃত্যু হয়। সংবাদপত্রবাহী ওই বাসটি সরোজগঞ্জ মনিরুল ইসলাম ফিলিংস্টেশনে রেখে বাসের ড্রাইভার-হেলপার পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে শোভনের নানা নায়েব আলী জানান, ‘আমার মেয়ের বিয়ে হয় ছোট আড়িয়া গ্রামের খবির উদ্দীনের সঙ্গে। গত এক সপ্তাহ আগে আমার মেয়েকে মারধর করে খবির উদ্দীন। মেয়ে রাগ করে পরের দিন আমার বাড়িতে চলে আসে। নাতি ছেলে দুটি তাঁর পিতার কাছেই ছিল। গত দুদিন ধরে নাতি ছেলে শোভনের জ্বর হয়। মাকে দেখবে বলে দাদির সঙ্গে ইজিবাইকে করে নবীননগরের আটমাইল নামকস্থানে পৌছায় সে। দাদি ইজিবাইকের ভাড়া দিতে গেলে শোভন একাই রাস্তা পার হতে যায়। এ সময় গোয়ালনন্দ ঘাট থেকে ছেড়ে আসা সংবাদপত্রবাহী একটি বাসের (ঢাকা-জ ১৪-০৪৩০) নিচে চাপা পড়ে সে। বাসের চাকায় তার একটি পা পিষ্ট হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।’
এ বিষয়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই গোকুল চন্দ্র অধিকারী জানান, এ দুর্ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আপস-মীমাংসার একটি কাগজ পেয়েছি। শোভনের লাশ তার নানা বাড়ি থেকে ছোট আড়িয়া গ্রামে তার পিতার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকালই পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে তার দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।