নিউজ ডেস্ক:
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে, এটি ঠিক নয়। সরকারের বাস্তবধর্মী পরিকল্পনায় দুর্ঘটনা উত্তরোত্তর হ্রাস পাচ্ছে। ২০০৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪২৭টি এবং ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৬৬টি।
জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল বুধবার বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মহিলা এমপি বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) ২০৩০-এর অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্যোগ হিসেবে সরকার সারা দেশের মহাসড়ক নেটওয়ার্ক পরীক্ষা করে ২২৭টি ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। তন্মধ্যে শতাধিক ব্ল্যাক স্পটে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বা অনুরূপ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করতে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন প্রকল্প, কার্যক্রম ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ফলশ্রুতিতে সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী গত চার মাসে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত গত ৪ মাসে সারাদেশে ৯২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৮৮ জন নিহত এবং ৭১৬ জন আহত হয়েছে।
গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি বাড়ছে না :
বেগম পিনু খানের অপর প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকারের নেই। বর্তমানে প্রাইভেট গাড়ির সর্বনিম্ন রেজিস্ট্রেশন ফি (৬০০ সিসি পর্যন্ত) ৭ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ (২০০১-৩৫০০ সিসি পর্যন্ত) ফি ৯৮ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে শুধু ঢাকা মহানগরীতেই রেজিস্টার্ড গাড়ির সংখ্যা ১১ লাখ ২৫ হাজার। গত জুলাই থেকে চলমান অর্থবছরে ঢাকা মহানগরীতে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ১৮টি।
রাজধানীর যানজট নিরসনে প্রাইভেট কার চলাচল নীতিমালা করা হবে কিনা সংক্রান্ত মহিলা এমপি দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহণ আইনে পরিবার প্রতি গাড়ি সংখ্যার ঊর্ধ্ব সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে।
রাস্তার পাশের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে :
সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের (মৌলভী বাজার-২) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অব্যবহৃত ফাঁকা জায়গায় প্রায়শই অসাধু লোকজন দখল করে থাকে। এ সমস্ত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য মাঠ পর্যায়ে সকল সড়ক বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে যে সকল স্থানে অবৈধ দখলদার আছে সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ মুহূর্তে নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বরিশাল, মেহেরপুর ও পিরোজপুর এলাকায় উক্ত কার্যক্রম চলছে।