নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় স্বর্ণ পাচারের আলাদা দুটি মামলায় দুজনকে ১৪ বছর করে কারাদ- দিয়েছেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদ- দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন বরিশালের দরিকর উপজেলার বানুড়িপাড়া গ্রামের সাইদ নুরুল হকের ছেলে সৈয়দ রুমান (৩০) ও মুন্সিগঞ্জের দ্বীতপুর উপজেলার লোহজং গ্রামের সারাফাত শরীফের ছেলে মেসরিন আহমেদ (৪২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ জুন সকালে দুইজন ব্যক্তি অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচারের জন্য চুয়াডাঙ্গার জয়নগর চেকপোস্ট এলাকায় আসেন। সে সময় চুয়াডাঙ্গা বিজিবির দর্শনা আইসিপি বিওপির একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জয়নগর চেকপোস্ট এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার দ্বীতপুর গ্রামের মোহাম্মদ সারাফত শরিফের ছেলে মেসরিনসহ বরিশাল জেলার বানুরিপাড়া উপজেলার দরিশর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সৈয়দ রুমনকে আটক করে। সে সময় আটক ওই আসামিদের শরীর তল্লাশি করে ১০৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়। পরে ওই ঘটনায় দর্শনা আইসিপি বিওপির হাবিলদার জাহাঙ্গীর হোসেন আটক আসামিদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় পৃথক দুটি চোরাচালান মামলা করেন। পরে দামুড়হুদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার ও উপপরিদর্শক (এসআই) গাজী আবু কাইয়ুম পৃথক ওই মামলা দুটি তদন্ত শেষে দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার মাস পর ওই মামলা দুটির সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা আদালতের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর অতিরিক্ত পুলিশ পাহারায় আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।