স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ধাক্কায় তিন উপজেলায় নৌকার ভরাডুবি

0
13

নৌকায় জয় পেলেন আসাদুল বিশ্বাস : স্বতন্ত্র হাফিজ-বাবু-আইয়ুব বিজয়ী
পুরুষ-মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতরা অধিকাংশয় নতুন মুখ
নিউজ ডেস্ক:কয়েকটি বিশৃঙ্খল ঘটনা ছাড়া চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলায় মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তবে একটি দু’টি নয়, প্রতিটি কেন্দ্রই ছিল নিরুত্তাপ-জনশুন্য। কোথাও ভোটারদের দীর্ঘ লাইন কিবা বুথগুলোতে অতিরিক্ত চাপ চোখে পড়েনি। ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে দু’একটি কেন্দ্র ব্যতিত প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৪-৫ জন ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করে। দুপুর পর্যন্তও বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোট প্রদানের শতকরা হার ছিল ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। বিকেলের দিকে কিছুটা আনাগোনা দেখা যায় কেন্দ্রগুলোতে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮৭টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৫২ জন। এরমধ্যে বৈধ ভোট ১ লাখ ২১ হাজার ৮টি, বাকী ৪ হাজার ১৪৪টি ভোট বাতিল। যেখানে দেখা গেছে ভোটাররা একটি সিলের স্থানে একাধিক সিল মেরেছেন। কেউ কেউ প্রার্থী পছন্দ করতে না পেরে সাদা ব্যালট বাক্সে ফেলেছেন। সে হিসেবে দাড়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় শতকরা ভোট প্রদানের হার ৪৫ শতাংশের কিছু কম বেশি। প্রায় সব উপজেলাতেই নিরুত্তাপ ভোটের দৃশ্য ছিল এমনই। তবে কোথাও কেন্দ্র দখল, জালভোট, ব্যালট-বাক্স ছিনতাই, কেন্দ্রে অবৈধ প্রবেশ ও অপ্রীতিকর তেমন কিছু ঘটেনি।

কয়েকটি বিশৃঙ্খল ঘটনা ছাড়া চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলায় মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তবে একটি দু’টি নয়, প্রতিটি কেন্দ্রই ছিল নিরুত্তাপ-জনশুন্য। কোথাও ভোটারদের দীর্ঘ লাইন কিবা বুথগুলোতে অতিরিক্ত চাপ চোখে পড়েনি। ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে দু’একটি কেন্দ্র ব্যতিত প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৪-৫ জন ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করে। দুপুর পর্যন্তও বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোট প্রদানের শতকরা হার ছিল ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। বিকেলের দিকে কিছুটা আনাগোনা দেখা যায় কেন্দ্রগুলোতে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৮৭টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৭৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৫২ জন। এরমধ্যে বৈধ ভোট ১ লাখ ২১ হাজার ৮টি, বাকী ৪ হাজার ১৪৪টি ভোট বাতিল। যেখানে দেখা গেছে ভোটাররা একটি সিলের স্থানে একাধিক সিল মেরেছেন। কেউ কেউ প্রার্থী পছন্দ করতে না পেরে সাদা ব্যালট বাক্সে ফেলেছেন। সে হিসেবে দাড়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় শতকরা ভোট প্রদানের হার ৪৫ শতাংশের কিছু কম বেশি। প্রায় সব উপজেলাতেই নিরুত্তাপ ভোটের দৃশ্য ছিল এমনই। তবে কোথাও কেন্দ্র দখল, জালভোট, ব্যালট-বাক্স ছিনতাই, কেন্দ্রে অবৈধ প্রবেশ ও অপ্রীতিকর তেমন কিছু ঘটেনি। এদিন বেলা ৫টার পর থেকে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে কেন্দ্রীয় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ চূড়ান্ত বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার আসাদুল হক বিশ্বাস ৪০ হাজার ১২৬ ভোট পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী নঈম হাসান জোয়ার্দার ঘোড়া প্রতীকে ২৭ হাজার ২৭৫ ভোট পেয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩২ হাজার ৫৭৩ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী হাফিজুর রহমান এবার জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোর্তুজা মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৮ হাজার ২৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল মল্লিক আনারস প্রতীকে ৬ হাজার ৮০৫ ভোট ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল নৌকা প্রতিকে মাত্র ৪১৮ ভোট পেয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আলী মুনসুর বাবু ৪১ হাজার ৫২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল আলম ঝন্টু পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৮৪ ভোট। এছাড়া মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. আবু তালেব পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৪৮ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এহসানুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৫৮৭ এবং কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. আব্দুল কুদ্দুস পেয়েছেন ১ হাজার ২৮৭ ভোট। আলমডাঙ্গায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আইয়ুব হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৫২ হাজার ৪১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জিল্লুর রহমান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৮৯৬ ভোট।  সবমিলিয়ে তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ধাক্কায় নৌকার ভরাডুবি হয়েছে, গতকালের প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে যেমনটি বলেছিলাম ‘বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে শঙ্কা নৌকার’। দলীয় প্রতীক নৌকার এই ভরাডুবির কারণ হিসেবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, দলের পদধারী ও জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েও বিদ্রোহীদের পক্ষে প্রচারণা এবং তাদের স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ি করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিদ্রোহীদের এই দাপুটে জয় দলের ‘চেইন অব কমান্ড’ নষ্টের আশঙ্কাও করছেন তারা। এবার দেখার পালা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর রাজনীতির মাঠে দায়িত্বশীল রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে কে কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তবে জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতির কথাও তাদের মাথায় রাখতে হবে।ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের বেসরকারি ফলাফল:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বেসরকারি ভাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন গরীব রুহানী মাসুম শাহী। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৯ হাজার ২০২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপন মন্ডল উড়োজাহাজ প্রতীকে ২৯ হাজার ৪০ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়াও মামুন অর রশীদ আঙ্গুর চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ১৯৩ ভোট, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযতে মাইক প্রতীকে ৩ হাজার ৪৫৯ ভোট এবং সুলতান মাহমুদ দীপন তালা প্রতীকে ২ হাজার ৩২৪ ভোট পেয়েছেন। এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ৫৮ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাহাজাদী আলম মিলি। তার নিকটতম ও একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুমা আক্তার পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৮১ ভোট। জীবননগরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকে ৩১ হাজার ৭৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জীবননগর থানা যুবলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম ঈশা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদুর রহমান মাস্টার চশমা প্রতীকে ১৮ হাজার ২৭৭ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়াও জাকের পার্টির সুজন মিয়া গোলাপ ফুল প্রতীকে ১ হাজার ৯২১ ভোট এবং আশরাফুজ্জামান টিপু উড়োজাহাজ প্রতীকে ৪ হাজার ৫৫৩ ভোট পান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়েছেন আয়েশা সুলতানা লাকী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেনুকা আক্তার রিতা হাঁস প্রতীকে ১৮ হাজার ৬২৬ ভোট পেয়েছেন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ৩১ হাজার ৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকের প্রার্থী দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজি রবিউল হোসেন পেয়েছেন ২১ হাজার ৩০ ভোট। এছাড়াও টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক রাজা পেয়েছেন ১২ হাজার ১৭৬ ভোট, বাংলাদেশ জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৩৩ এবং তালা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. রফিকুল আলম রান্টু পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৩৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে কলস প্রতীকের প্রার্থী সাহিদা খাতুন ৩৫ হাজার ৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীকের প্রার্থী সাহিদা সুলতানা শামীমা পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৯৫ ভোট। এ ছাড়া প্রজাপতি প্রতীকের প্রার্থী রওশন আকবর লাইলী পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৫৮ ভোট। আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার সালমুন আহম্মেদ। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজিজুল হক চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৯৫ ভোট। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী মারজাহান নিতু বিজয়ী হয়েছেন। তিনি হাঁস প্রতীক নিয়ে ৭১ হাজার ৪৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম আরা খাতুন ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪০ ভোট।কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার:বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) ও চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল ইমাম হাসান। এদিন তাঁরা একসঙ্গে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি ও এসপি। কেন্দ্র পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার (সদর ও জীবননগর) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান এবং জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার (দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গা) তারেক আহমেমদ।চুয়াডাঙ্গা সদরের হাজরাহাটি ও তালতলার দু’টি কেন্দ্রে উত্তাপ:গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভাধীন অঙ্গীকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এক কর্মীর উপর চড়াও হন তিনি। তবে বড় ধরণের কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার আগেই কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ-আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরআগে সকাল সাড়ে ৯টায় তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে জুয়েল নামের এক নৌকা প্রতীকের কর্মীকে রক্তাত্ব জখম করা হয়। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ও তার আশপাশে অনুমোদনহীন মোটরসাইকেল আরোহীরা চলাচল করছিলো। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হলে বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল চালককে আটক করা হয়। নির্বাচনী বিধি নিষেধ অমাণ্য না করা এবং অনুমোদনহীন যানবাহন চালানোর ব্যাপারে তাদেরকে নিরুৎসাহিত করা হয়। উত্তেজনা সৃষ্টি ও গোলযোগের সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের অভিভাবকের জিম্মায় মুচলেকায় মুক্তি দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাচনে আনসার পিসি-এপিসিদের হাতে অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্র নিরাপত্তায় প্রশংসিত উদ্যোগ বলে অবহিত করেছেন অনেকে।চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আসাদুল হক বিশ্বাসকে ফুলেল শুভেচ্ছা: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয় বার নির্বাচিত হওয়া তাকে উষ্ণ ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। গতকাল রাতে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পর কলেজ রোডস্থ তার বিশ্বাস টাওয়ারের বাসভবনে ফুলের মালা নিয়ে হাজির হন তারা। এ সময় পুনঃনির্বাচিত চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মাহবুল ইসলাম সেলিম, আইন উপদেষ্টা এড. তসলিম উদ্দীন ফিরোজকে ফুলেল মালা পরিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয়।