কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা নিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়াও বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, সোমবার আদালত বন্ধ থাকছে। মঙ্গলবার কোর্ট খুললে প্রথমেই এই মামলা শুনবেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির কথা রয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় সাত দিনের জন্য গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা পুলিশ।
আদালত সোমবার বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে। মূলত আরজি করের ঘটনার ওপর নজর রাখতে সরাসরি মামলা হাতে নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তদন্তের গতি-প্রকৃতি, হাসপাতাল ও রাজ্যের ভূমিকা খতিয়ে দেখবেন শীর্ষ আদালত। এ ছাড়া কর্মস্থলে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়েও শুনানি হতে পারে।
হাইকোর্টে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা নিয়ে করা মামলার সঙ্গে যুক্ত এক আইনজীবী জানান, সুপ্রিম কোর্ট ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্তসহ পুরো বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ওই নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ শুরু হয়। অনেক হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিৎসকরা।
এরই মধ্যে সঞ্জয় রায় নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট এই স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ নিলেন।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা পুলিশ। আগামী শনিবার পর্যন্ত সেখানে পাঁচজন বা এর বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবে না।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা (সাবেক ১৪৪ ধারা) অনুযায়ী এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শ্যামপুকুর, উল্টোডাঙা ও টালা থানা এলাকার বেলগাছিয়া রোড, জে কে মিত্র রোড ক্রসিং ও শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে জমায়েত করা যাবে না। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরাও রোববার রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয়রা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। এ ছাড়া মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের সমর্থকরাও বিক্ষোভ করেছেন। পুলিশের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের।