চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত
নিউজ ডেস্ক:সম্প্রতিকালে দেশজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা মহামারি আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। চুয়াডাঙ্গাতে ডেঙ্গুর প্রধান বাহক ‘এডিস’ মশার উপক্রম শুরু না হলেও পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাই কাউন্সিলর ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহর থেকে মশক নিধন এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছেন মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। কখনো তিনি গাড়ির ড্রাইভার, আবার কখনোবা ঘাড়ে ফগার মেশিন ও হাতে স্প্রে মেশিন নিয়ে ছুটছেন শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মী আর কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে কাস্তে হাতে ঝোপঝাড়ও পরিষ্কার করছেন তিনি।
এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন এলাকার ঝোপঝাড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ মেশিনে মশক নিধন ওষুধ নিয়ে স্প্রে করার কাজ করেন মেয়র জিপু চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ্ ইয়া খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক। এ সময় নিজ হাতে কাস্তে ও ঘাড়ে স্প্রে মেশিন নিয়ে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে দেখা যায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুন্সী রেজাউল করিম খোকন, পৌর কাউন্সিলর শাহিনা আক্তার রুবি, নাজরীন পারভীন মলি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জ্যাকি, পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীদের।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাসহ সারা দেশের পৌর কর্মচারীরা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পাওয়ার জন্য এক দফা দাবিতে আন্দোলনে আছেন। ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করছেন সারা দেশের পৌর কর্মচারীরা। পৌরসভার জনগণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার প্রধান দায়িত্ব যে মেয়রের, সে কথা ভুলে না গিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে তিনি নিজেই নেমেছেন।