নিউজ ডেস্ক:
স্কুল ভবন নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছিল নিম্নমানের ইট-সুরকি, এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য। ইট-সুরকি নিম্নমানের হওয়ায় সেগুলো ফেরত পাঠান তিনি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের সিংড়ায়। নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরকারি স্কুলে নির্মাণকাজে দুর্নীতি হাতেনাতে ধরেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। যেকোনো দুর্নীতির বিষয়ে তাকে এবং উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে দেখা যায়, ভবন নির্মাণের জন্য আনা ইট-সুরকি নিজে পরীক্ষা করছেন প্রতিমন্ত্রী।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‘সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন ভবন নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক ইটের মান খারাপ প্রমাণিত হওয়ায়, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিম্নমানের মালামাল ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কোথাও দুর্নীতির প্রমাণ পেলে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান পলক। তিনি লেখেন, ‘নাগরিকের সচেতন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণই পারে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। সিংড়া উপজেলার যেকোনো প্রান্তে দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোনো ধরনের অনিয়ম লক্ষ্য করলে অবহেলা না করে প্রতিবাদ করুন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি বেশ সাড়া ফেলে। অনেকেই প্রতিমন্ত্রীর এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
ওই পোস্টে বিভিন্ন মন্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন। এমনকি উপজেলার কয়েকটি সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।