গাংনী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানে টাকা দাবি
নিউজ ডেস্ক:গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পায়ে ব্যান্ডেজ ও ঔষধ লেখাতে রোগির কাছ থেকে নগদ এক হাজার টাকা দাবি করেছেন প্যারা মেডিকেল ডাক্তার (সেকমো) তানভির আহমেদ। আর দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় দিনভর বসে থেকেও কোন সেবা মেলেনি মিলনের। এমনই কষ্টের কথা জানিয়েছেন, গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের ভুক্তভোগি মিলন। গত রোববার গাংনী সরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেনের পারিবারিক কাজে থাকা অবস্থায় পড়ে গিয়ে বাম পায়ে মোচড় লাগে। গরিব মানুষ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা নিতে ব্যর্থ হয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় মিলন। টিকিট কেটে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে এক্স-রে করে দেখে পায়ে সামান্য ফাটল আছে। প্রেসক্রিপশন ও এক্স-রে রির্পোট নিয়ে হাসপাতালে গেলে মিলনের সকল কাগজপত্র দেখে এক হাজার টাকা দাবি করেন ইমারজেন্সির দায়িত্বে থাকা প্যারামেডিকেল তানভির। মিলনের নিকট টাকা নেই বললে হাসপাতালে কোন সেবা হবে না বলে জানিয়ে দেন তানভির।
অফিসের আউটসোর্সিংয়ে থাকা আলামিন তার পায়ের ব্যান্ডেজ করে দিতে চাইলে তাকে হুমকি দিয়ে মিলনের পায়ে হাত দিতে নিষেধ করেন তানভির। পরে দিনভর অপেক্ষা করে কোন চিকিৎসা না মেলায় অবশেষে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফেরেন মিলন। গতকাল সোমবার সকালে গাংনী হাসপাতালের একজনের নিকট থেকে চুরি করে পায়ের ব্যান্ডেজ সারেন মিলন। এসময় স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেন।
মিলনের খালা জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাদের নিকট এক হাজার টাকা নেই, তাই সরকারি হাসপাতালে সেবা দেবে না বলে জানিয়েছেন।’
প্যারা মেডিকেল (সেকমো) তানভির আহম্মেদ জানান, বাইরে গেলে বড় চিকিৎসক ৪ হাজার টাকা নেবে। আমাদের হাসপাতালে আমরা করিয়ে দেব মাত্র এক-আদ হাজারে। এগুলো নিয়ে সমস্যা হলে তো আর চিকিৎসা করা সম্ভব হবে না।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, সরকারি হাসপাতালে টাকা চাওয়ার কথা নয়। তবে টাকা চাইলে বিষয়টি প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরপুর সির্ভিল সার্জন শামীম আরা নাজনীন জানান, ভুক্তভোগি পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষি প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।