চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় টিএলসিসির বিশেষ সভায় পৌর মেয়র জিপু চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ২০১৯-২০ইং অর্থবছরের প্রস্তাবিত ও ২০১৮-১৯ইং অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট-বিষয়ক ‘টাউন লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটির (টিএলসিসি)’ বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মিলনায়তনে টিএলসিসির সদস্য, সুধীজন ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলামের পরিচালনায় প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরেন পৌরসভার হিসাবরক্ষক আবু বকর বিশ্বাস। প্রস্তাবিত বাজেটে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ২০১৯-২০ইং অর্থবছরের আয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ও ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি ৮৭ লাখ ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা। উন্নয়ন খাতে ৪৫ কোটি ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার ১৮০ টাকা ও রাজস্ব খাতে ১২ কোটি ৮৪ লাখ ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম ই¯্রাফিল, চুয়াডাঙ্গা স্বাচিপের সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ, চুয়াডাঙ্গা পৌর কাউন্সিলর মুন্সি রেজাউর করিম খোকন, জাহাঙ্গীর আলম, নাজরিন পারভীন, জাহাঙ্গীর আলম মালিক, গোলাম মোস্তফা শেখ মাস্তার, রাসেদুল ইসলাম মানু, আবুল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম মনি, শাহিনা আক্তার, সুলতানা আরা রতœা, শেফালী খাতুন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ডালিম, জেলা দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাদের, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ, জেলা দুর্নীতি দমন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেবেকা সুলতানা, ৭১ টিভির জেলা প্রতিনিধি এম এ মামুন, টিএলসিসির সদস্য মতিয়ার রহমান, সেলিনা আক্তারসহ টিএলসিসির সদস্য, সুধীজন, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি ও সাংবাদিকেরা।
সভায় পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, গত অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেট আরও উন্নত। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধির জন্য পৌর পরিষদ বদ্ধ পরিকর। এবারের বাজেট শহর বর্জ্যমুক্তকরণ, সৌন্দর্য বর্ধন, সড়কবাতি স্থাপন, পানি সরবরাহ, মশক নিধন, ড্রেন নির্মাণ, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, মার্কেট নির্মাণসহ পৌরবাসীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজেট। দরিদ্র, এতিম ও অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার জন্য পৌর তহবিল থেকে বৃত্তি ও আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার জন্যও বাজেট রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ইতিহাসে এটি সর্বোৎকৃষ্ট বাজেট হতে চলেছে।