হাবিবুল ইসলাম হাবিব , টেকনাফ :
টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদুরে বঙ্গোপসাগর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন ১০ জন জলদস্যুকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী সদস্যরা। আটককৃতরা হচ্ছে মিয়ানমারের শাহপুর জেলার লিদে থানার সেন জ্য এর পুত্র মতি মি (৩৩), সাইটো গ্রামের অং প ইউ এর পুত্র থশম (৩৬), লেটুয়া জেলার মুনসিসিকা থানার উটচি এর পুত্র ডেলবা (৩৪), সুচিং লার পুত্র বাসু বে (৪০), সাটু গ্রামের সটেং প্রুর পুত্র চ্য চ্য (৩৭), থাপস গ্রামের মইয়ার পুত্র থা মিয়্যে (৩২), খাপা সাং গ্রামের খাবিসির পুত্র চ উস্যে (৩০), উটসের পুত্র চু চ্যে প্রু (৩৮), মং সুয়া (৩৫) ও শাহপুর গ্রামের উ চ্যলার পুত্র উট কি ওক্যে (৩৩)।
গতকাল ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আটককৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃত রাখাইন নাগরিকরা ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করেছিল।
মামলার বাদী বানৌজা আবু বকর জাহাজের পেটি অফিসার মো. ইমরান আহমদ জানান, গত ২২ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিনের অদুরে পূর্ব-দক্ষিন বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের জলদস্যুরা বাংলাদেশের জলসীমায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। এ খবর পেয়ে বানৌজা আবু বকর জাহাজের মাধ্যমে টহলদল উক্ত স্থানে পৌঁছলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রাখাইন জলদস্যুরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহ্নত একটি ট্রলার জব্দ করা হয়। পরে তল্লাশী চালিয়ে ৩টি লম্বা তলোয়ার ও ২ টি চাপাতি পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, আটককৃদের কাছে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়ে বৈধ কোন কাগজ পত্র নেই।
এদিকে আটককৃতদের টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে পৃথক ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। জব্দকৃত ট্রলারটি টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত কয়েকদিন যাবৎ বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এসময় জেলেদের টাকা, মাছ লুটসহ মুল্যবান সরঞ্জমাদী নিয়ে যায়। এতে বাধা দিলে জেলেদের ব্যাপক মারধর করা হয়।