বিপ্লব নাথ (চট্টগ্রাম): মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিয়সতার পর এবার কক্সবাজার-বান্দরবান সীমান্তের মিয়ানমার অংশে স্থলমাইন বিস্ফোরণে ৩ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন রেজু আমতলি ও তুমব্রু সীমান্তে শনিবার রাত ও রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
গেলো মঙ্গলবারও একই ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে অনুপ্রবেশকারী কিছু রোহিঙ্গা তাদের গ্রামে ফিরে যাবার চেষ্টা করলে স্থলমাইন বিস্ফোরণে সাবেকুন্নাহার (৪৫) নামের এক রোহিঙ্গা নারীর পা উড়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সীমান্তে এখন নতুন করে দেখা দিয়েছে স্থলমাইন আতঙ্ক। সীমান্তে বিপুল সংখ্যক স্থলমাইন ও উচ্চ ক্ষমতার বিস্ফোরক বসিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্ত বাহিনী বিজিপি।
একাধিক রোহিঙ্গা জানান, সীমান্তে সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দেয়ার সময় তারা কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গর্ত করে স্থলমাইন ও বিস্ফোরক মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সীমান্তের তারকাটা ঘেঁষে মিয়ানমার সরকারের বিপুল সংখ্যক স্থলমাইন ও বিস্ফোরক পুঁতে রাখার কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে।
বান্দরবানের ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, শনিবার রাতে রেজু অমতলি সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে স্থলমাইন বিস্ফোরণ হলে ৩ রোহিঙ্গা নিহত ও একজন আহত হন। সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে এই হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো জানান, রোববার ভোরে তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ-মিয়ানমার ৩৭-৩৮ নম্বর পিলারের মধ্যস্থানে স্থলমাইন বিস্ফোরণের অন্য ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি এলাকার বাসিন্দা আবুল খায়েরের ছেলে মো. হাসান (৩২) আহত হন।