নিউজ ডেস্ক:
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন সিরাজগঞ্জ এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ফয়সাল আহমেদ এর নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জ জেলার সদরে বিভিন্ন ঔষধের ফার্মেসীতে জনস্বার্থে জনবান্ধব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় । উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে সহায়তা করেন ঔষধ তত্বাবধায়ক জনাব মোঃ শেখ আহ্সান উল্লাহ,মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ এবং লেফটেন্যান্ট এম এম এইচ ইমরান, কোম্পানি কমান্ডার এর নেতৃত্বে RAB-12 এর একটি চৌকষ দল উক্ত অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন।
উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ,নিষিদ্ধ ঔষধ,মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন ঔষধ,অনুমোদনহীন বিভিন্ন চেতনানাশক ঔষধ,ড্রাগ লাইসেন্স না থাকা,অতিরিক্ত দামে ঔষধ বিক্রির দায়ে ৮ ট(আট) ঔষধ ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।অভিযান পরিচালনাকালে Tapendadol ৫১৭ পিছ( যা ইয়াবার বিকল্প) হিসেবে মাদকসেবীরা ব্যবহার করে,অনিবন্ধনকৃত ২২৩৪ টি আইটেম ঔষধ বিক্রয় নিষিদ্ধ প্রায় ২১২৮৯২(দু লক্ষ বারো হাজার আটশত বিরানব্বই) পিছ ঔষধ, মেয়াদোত্তীর্ণ প্রায় ১০৪৩ টি ঔষধ জব্দ করা হয়।
ড্রাগস এ্যক্ট ১৯৪০ এর ১৮(ক),(খ),(গ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২৭ ধারায় দি মেডিসিন সেন্টারকে ১৫০০০/-(পনেরো হাজার), খন্দকার ড্রাগসকে ৫০০০/-(পাচ হাজার) মের্সাস আল মদিনা মেডিক্যাল স্টোরকে ৭০০০০/-(সত্তর হাজার) ,পাল এন্ড সন্স মেডিকেলকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার)
শাহেদ মেডিক্যাল হলকে ২০০০০/-(বিশ হাজার) এরশাদ মেডিক্যাল হলকে ৫০০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) ৬ টি দোকানে সর্বমোট ২১০০০০/- (দুই লক্ষ দশ হাজার টাকা) অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ ধারা ৫১ ধারা অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার দায়ে জান্নাতী মেডিক্যাল স্টোরকে ২০০০/-(দুই হাজার) টাকা এবং সোহেল ড্রাগসকে ১০০০০/-(দশ হাজার) টাকা সর্বমোট ১২০০০/-(বারো হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
জব্দকৃত ঔষধ ঔষধ তত্বাবধায়কের তত্ত্বাবধানে ধ্বংস করা হয়।