নিউজ ডেস্ক:
সিঙ্গাপুরে ডিপথেরিয়ায় মারা গেছেন ২১ বছর বয়সের একজন বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক। গত শুক্রবারে তার মৃত্যু হয়।
তার সঙ্গে সরাসরি একসঙ্গে কাজ করতেন অথবা কাছাকাছি থাকতেন এমন আরো ৪৮ জন শ্রমিককে আলাদা করা হয়েছে পরীক্ষা করার জন্য। বর্তমানে তাদেরকে রাখা হয়েছে খু টেক পুয়াত হাসপাতালে।
এক শ্রমিক মারা যাওয়ায় সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশি অন্য শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের একজন নির্মাণ শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম (২৬)। তিনি ৪ বছর ধরে বসবাস করেন সিমপাং লজ ২ এর একটি ডরমেটরিতে।
জাহাঙ্গীর বলেছেন, এখানে অনেক মানুষ বসবাস করে। তাই এ রোগটি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুব বেশি।
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে সৃষ্ট ডিপথেরিয়া গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম সিঙ্গাপুরে দেখা দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিভিন্ন অনলাইন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত বাংলাদেশি সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের বাইরে যান নি। তাই ধরে নেয়া হচ্ছে তিনি সিঙ্গাপুরের ভিতর থেকেই সংক্রমিত হয়েছিলেন। কিভাবে এই সংক্রমণ দেখা দিয়েছে তা নির্ধারণে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
খবরে বলা হয়েছে মৃত বাংলাদেশি ইইশুন এভিন্যু ৭ এর একটি ডরমেটরিতে থাকতেন। কাজ করতেন তেবান গার্ডেনসে। গত ৩০ শে জুলাই তার জ্বর হয়। গলা ফুলে যায়। খু টেক পুয়েত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে চিকিৎসার জন্য। সেখানে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা করে ফেলা হয়। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কিন্তু কোনো চিকিৎসাই তাকে বাঁচাতে পারে নি। ৫দিন ভুগে মারা যান তিনি। তার শ্বাসযন্ত্র থেকে কিছু স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় ব্যাকটেরিয়াম পজেটিভ। তিনি ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত।
ওদিকে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডিপথেরিয়া বিষয়ে সতর্কতা জারি করে। সিঙ্গাপুরে ডিপথেরিয়া ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম। কারণ, সেখানে ১৯৬২ সাল থেকে ন্যাশনাল চাইল্ডহুড ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রামের অধীনে বাধ্যতামুলক টিকা নিতে হয় সিঙ্গাপুরবাসীর। দু’ বছর বয়সী এমন শিশুদেরও এ টিকা দেয়া হয়। যারা ১৯৬২ সালের আগে জন্ম নিয়েছেন তাদের শৈশবে ছোট আকারে সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। সংক্রমণ ব্যাধি বিশেষজ্ঞ লিয়ং হোই নাম বলেছেন, ছোট আকারের ওই সংক্রমণ আস্তে আস্তে বিস্তার লাভ করতে পারে।