নিউজ ডেস্ক:
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য সার্কের একাত্মতা চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। একাত্মতা না হলে দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়ীক সুসম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলেও জানান তারা।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘আনালিশিং সাউথ এশিয়া : ইমপেরাটিভ ফর একশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক গোল টেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন সার্কভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসায়ী নেতারা।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ৯৫ শতাংশ মানুষ সার্কের একাত্মতা চায়। আর সার্ক দেশগুলোর ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ মানুষই ভালো। তারা চায় দেশগুলোর মধ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি সবসময় বজায় থাক এবং ব্যবসায়ীক, কূটনৈতিক থেকে শুরু করে সব ধরনের সম্পর্কের আরো ভালো সূচনা হোক।
কিন্তু বাকি যে শূন্য দশমিক এক শতাংশ মানুষ রয়েছে তারা সন্ত্রাসবাদে জড়িত। তারা চায় না দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক বিরাজ করুক। আর এদের জন্য ভালো মানুষগুলো কাজ করতে পাড়ছে না। তাই সবাইকে মিলে এক সঙ্গে এ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়া সার্ক দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান পারমানবিক বোমা সমৃদ্ধ দেশ। এ দুদেশের মধ্যে মতভেদ চরমে। এটি খুবই চিন্তার বিষয়। ব্যবসায়ীক পরিধি বৃদ্ধির জন্য এ মতভেদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এ সময় অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এখন আর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে এবং শুধু আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সমস্যা সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সার্ক সিসিআই) সভাপতি সুরাজ বৈদ্য, সহসভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এফবিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিফুল ইসলাম, পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তইমুর তোজাম্মাল, ঢাকায় নিযুক্ত আফগানিস্তান দূতাবাসের প্রথম সচিব ফারিতা আজাজি প্রমুখ।