সাবেক দুই সংসদ সদস্য (এমপি) ও এক মন্ত্রীর পিএর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের পিএ মাকসুদ।
হাবিবুর রহমান: অভিযোগে বলা হয়, হাবিবুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি নিজ নামে ও তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের অপর সদস্যদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন। এছাড়া দেশে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
আবদুস শহীদ: অভিযোগে বলা হয়, আবদুস শহীদ ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি সংসদ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বন বিভাগের জমি দখল করে চা-বাগান তৈরি করেছেন। আর চা-বাগানের রাস্তার লাইট ও ডিপ টিউবওয়েল সরকারি খরচে স্থাপনসহ সরকারি আইন লঙ্ঘন করেছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও নিজ সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি কিনেছেন।
এছাড়া দুদকের গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে দেশে-বিদেশে থাকা বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রীর পিএ মাকসুদ: অভিযোগে বলা হয়, মাকসুদ আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ নিয়ে সেই কাজ সম্পন্ন না করিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন। বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁর নিজ নামে, স্ত্রী ও পরিবারের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। এ ছাড়া দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে দেশে ও বিদেশে তাঁর বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।