নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর বনানীতে রেইন ট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
এদিকে এই ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত সঠিকভাবে করার জন্য চার সদস্যের তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কৃষ্ণপদ রায় বলেন, বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার সঠিক তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনারসহ (ক্রাইম ও ইনভেস্টিগেশন) তিনজন।
তিনি বলেন, বিলম্বে রুজু হওয়ার কারণে মামলা যেন সঠিক পথে এগোয়, আমরা যেন তথ্যপ্রমাণসহ আদালতে প্রতিবেদন পেশ করতে পারি সে লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে এই তদন্ত সহায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকের নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তরের একটি দল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট থেকে সাফাত আহমেদ ও তার সহযোগী সাদমান সাকিফকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের নিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে দলটি। তাদেরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এ মামলায় আসামিদের ধরতে চারটি দল কাজ করছে। এগুলো হলো পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের একটি দল, ডিবির একটি দল, বনানী থানার একটি দল ও উইমেন সাপোর্ট ডিপার্টমেন্টের একটি দল। এই দলগুলো আসামিদের ধরতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অভিযান চালায়।
তিনি বলেন, সাফাত-সাকিফকে গ্রেপ্তার করা হলেও অভিযান শেষ হয়নি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।