নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে যাওয়ার জন্যই দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন ও সংগ্রাম করে আসছি। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ এবং সহায়ক সরকারের অধীনে। এজন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সবার জন্য সমান সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আজকে আওয়ামী লীগ দেশে পরিকল্পিতভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। তারা প্রথম আঘাত এনেছে রাজনীতিতে। এভাবে সর্বস্তরে তারা ধ্বংস করছে। প্রবৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। সরকার সমগ্র মানুষকে প্রতারিত করছে। এখন প্রবৃদ্ধি হচ্ছে শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীদের। সবই মিথ্যাচার করছে সরকার।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর এই সভায় বিএনপি প্রতিষ্ঠাতার অবদান তুলে ধরে দলের বর্তমান মহাসবিচ বলেন, শহীদ জিয়ার অবদান ছিল অসংখ্য। যেখানেই যান তার অবদান রয়েছে। কোনদিকে তাকাবেন? সবখানে তাকে পাবেন। নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় তার সৃষ্টি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গবেষণা কেন্দ্র তার দেয়া, ঈশ্বরদীতে সুগার রিসার্চ ইনস্টিটিউট তার দেয়া, খামার বাড়িতে গবেষণা কেন্দ্র তার সৃষ্টি। এমনিভাবে অসংখ্য জায়গায় তার নামফলক রয়েছে।
শহীদ জিয়াকে মিতব্যয়ী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, জিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকার বেশি কখনোই থাকত না। নিজের একটু জমিও নেই তার। মৃত্যুর পর তার একটা ভাঙা স্যুটকেস পাওয়া গেয়েছিল। এখানেও অনন্য তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শ্রমিকদল সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছা সেবকদলের শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম।