চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে মৃত মধু মালিথা ও আহত জধু মালিথার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক
নিউজ ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে মৃত মধু মালিথার ও আহত জধু মালিথার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহযোগিতা করলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সফল পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। আজ রবিবার (৩ই মে) বিকাল ৪টার দিকে মৃত মধু মালিতা ও জধু মালিতার পরিবারের মধ্যে এই খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহযোগিতা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদলতের পাবলিক প্রোসিকিউটর এ্যাড. বেলাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মুন্সি ফজলে রাব্বি ফিট্টু, ওয়ার্ড মেম্বারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
উল্লেখ যে, চুয়াডাঙ্গার হায়দারপুরে নবগঙ্গা খননকে কেন্দ্র করে নবগঙ্গা খাল পাড়ের দুই জমির মালিক হায়দারপুর গোপালনগর বুচকলা পাড়ার আওলাদ মালিথার ছেলে শলকের সাথে মধু শালিথার পরিবারের মধ্যে বিরোধের চলে আসছিলো। মধু মালিথা ও তার পক্ষের লোকজন খনন কাজের স্থানে গেলে বেলা ১১ টার দিকে দিকে পূর্ব থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী শলকের ভাড়া করা ৫০ জনের অধিক লোকজন মধু শালিথা ও তার পক্ষের লোকজনের উপর ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ লেগে গুরুত্বর জখম হয় মধু মালিথা ও তাঁর ছোট ভাই জধু মালিথাসহ স্থানীয় আরো এক জন। গুরুত্বর জখম অবস্থায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মধু মালিথা ও তাঁর ছোট ভাই জধু মালিথাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘাড়সহ শরীরের বিভন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম নিয়ে রাজশাহীতে জধু মালিথা চিকিৎসাধিন থাকলেও কয়েকদিন পর মৃত্যু হয় মধু মালিথার। এ বিষয়ে মধু মালিথার চাচাতো ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, একই স্থানে আমারও চার বিঘা জমি আছে। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে আমার পিতা এ ধানি জমি ক্রয় করেন। এখন এখানে নবগঙ্গা নদীর খনন কাজ চলছে। সরকারী কাজে আমরা বাঁধা দিতে চাইনা। তবে শলক তাঁর পুকুর বাচাতে খনন কাজের দায়ীত্বে থাকা ম্যানেজার নাঈম ও শান্তকে টাকা দিয়ে খনন কাজ আমাদের জমির দিকে মোড় ঘুড়িয়ে দিয়েছে। এরই প্রতিবাদ করলে শলক ৫০ জনের অধিক ভাড়া করা লোকজন নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করে। এ সময় ধাড়ালো অস্তের কোপে আমার চাচাতো ভাই মধু মালিথা ও জধু মালিথা গুরুত্বর জখম হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু মধু ও জধুর অবস্থা অশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী রেফার্ড করে। রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু হয় মধুর।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধীরা বলছেন শলকের ভাড়া করা লোকজন পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে মধু কে। মধুর বড় ভাই মিজানুরের করা মামলার এজহারভুক্ত মোট ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। আটক ৬ জনের মধ্যে ২ জনের নাম ১ লাল্টু (২৪), পিতা: আব্দার আলী, সাং- নূর নগর ২. বাচ্চু (৩০), পিতা: মন্টু, সাং- ঠাকুুরপুর। এরা নতুন স্টেডিয়ামে আতœগোপন থাকা অবস্থায় তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
কিন্তু মামলার প্রধান আসামী শলক ও দ্বিতীয় আসামী খালিদ এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। কেন পুলিশ তাদের আটক করছে না এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর। খুনিদের দ্রুত আটক করে ফাঁসি হওয়ার দাবী জানালেন এলাকাবাসী।