তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল ৫৩ বছরেও রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে পারেনি এবং তাদের ব্যর্থতার দায়ও স্বীকার করেনি। সরকারি চাকরি প্রত্যাশী গুটিকয়েক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-পুতি ব্যতীত অন্য সকল চাকরি প্রার্থীদের সকলকেই কী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজাকারের সন্তান হিসেবে অবহিত করছেন কি না- এ বিষয়ে জাতির সামনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পরিষ্কার হওয়া উচিত।
কারণ হিসেবে তিনি জানান, রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা থাকলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে পিএসসি, সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের পিতার নাম রাজাকারের তালিকায় থাকার কারণে অটোমেটিক্যালি পিএসসির নিকট চলে আসার কথা ছিল।
এক্ষেত্রে সরকারকে অতি দ্রুত নীতিমালা তৈরি করতে হবে। আজ যদি সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের বিষয়ে নীতিমালা তৈরি থাকতো তাহলে, রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতিদের সরকারি চাকরিতে ইন্টারভিউ কার্ড পাওয়ারও যোগ্যতাও থাকতো না।
তিনি আরও বলেন, রাজাকারের সন্তান, নাতি পুতিরা নৈতিকভাবেই সরকারি চাকরিতে সুবিধাও পেতো না।
সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে জিয়াউল হাসান বলেন, অবিলম্বে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সংরক্ষণ করতে হবে। যাতে করে রাজাকারের বংশধরেরা সরকারি চাকরিতে যোগদান করার কোন সুযোগ না পায়। সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করার সময় পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) অবশ্যই চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে কেউ রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতি কি না তা যাচাই-বাছাই করেই ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করতে হবে।
এ ব্যাপারে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে রাজাকারের সন্তান, নাতি-পুতির বিষয়ে সরকারকে দ্রুত নীতিমালা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে আসন্ন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আইন প্রণয়ন করার জন্য আমি দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ, একাত্তরের শহীদদের রক্ত ঝরা এই মাটিতে রাজাকারের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে যোগদান করার কোনরকম সুযোগ থাকা কোনভাবেই উচিৎ হবে না। যুক্তি সঙ্গতও হবে না।