নিউজ ডেস্ক:
লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে থাকা সকল নৌযান, মাছ ধরা ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল থেকেই দেশের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে পানিতে। স্যুয়ারেজ অব্যবস্থাপনার কারণে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামও। রাজধানী ঢাকারও বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে আছে। দেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ২১-২৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত থাকবে। ভারী ও বজ্রসহ ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকাগুলোয় ভূমিধস হতে পারে।
এদিকে শনিবার সকালে সূর্যের আলো দেখা যায়নি রাজধানীর আকাশে। সকাল থেকে কখনো মুষলধারে বৃষ্টি আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীতে। গতকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে নগরীতে। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছে অফিস-আদালতগামী মানুষ এবং স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষেরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরর্ব্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। এ কারণে রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বর্জ্যসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এসব এলাকায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অপেক্ষাকৃত নিচু স্থানগুলোতে হাটুপরিমাণ পানি জমে গেছে। সেই পানিতে ভাসছে নোংরা-আবর্জনা। বিশেষ করে নগরীর শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, আরামবাগ, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ বেশ কিছু স্থানে পানি জমে জলজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহনে ভোগান্তি বেড়েছে।
এ ছাড়া নগরীর অধিকাংশ সড়কের পাশে সিটি কর্পোরেশনের ড্রেন ও ওয়াসার পানির সংযোগ লাইনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কাজ চলমান থাকায় খোঁড়া গর্তে পানি জমে সড়কের সঙ্গে সমান হয়ে গেছে। এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।
মালিবাগ এলাকার জুয়েল বলেন, বাসে উঠা যাচ্ছে না। বৃষ্টিতে রাস্তায় বাস কম। রিকশা ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আবার ভাঙাচুরা রাস্তার কারণে অনেক এলাকায় রিকশা যেতে চাইছে না। ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই। কিছুদূর পরপরই ময়লা, কাদা, পানি জমে আছে।