নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি মহিলা আসন ২৫ বছর সংরক্ষিত রাখার বিধান করে আজ সংসদে সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল, ২০১৮ সর্বসম্মতিক্রমে পাস করা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান দফা ৩ এর পরিবর্তে ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন, ২০১৮ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে শুরু করে পঁচিশ বছরকাল অতিবাহিত হবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভেঙ্গে না যাওয়া পর্যন্ত ৫০টি আসন কেবল মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং তারা আইনানুযায়ী পূর্বোক্ত সদস্যদের মাধ্যমে সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন’ শীর্ষক নতুন দফা ৩ প্রতিস্থাপন করা হয়।
বিলে বলা হয়, তবে শর্ত থাকে যে, এ দফার কোন কিছুই এ অনুচ্ছেদের দফা ২ এর অধীন কোন আসনে কোন মহিলার নির্বাচন নিবৃত্ত করবে না।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, রুস্তম আলী ফরাজী, ফখরুল ইমাম, বেগম রওশন আরা মান্নান, নূর-ই- হাসনা লিলি চৌধুরী, নূরুল ইসলাম মিলন, কাজী ফিরোজ রশীদ ও আব্দুল মুনিম চৌধুরী বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এর পর সংবিধান অনুযায়ী বিভক্তি ভোটের মাধ্যমে সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল, ২০১৮ বিবেচনার প্রস্তাব পাস করা হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ২৯৫ ভোট এবং বিপক্ষে একটি ভোটও পড়েনি।
পরে বিধি অনুযায়ী আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিল পাসের প্রস্তাব করলে তা প্রথমে কন্ঠ ভোটে গ্রহণ করে বিধান অনুযায়ী বিভক্তি ভোটে পাস করা হয়। পাসের প্রস্তাবের অর্থাৎ হ্যাঁ’র পক্ষে ২৯৮ ভোট পড়েছে। বিপক্ষে অর্থাৎ না’র পক্ষে কোন ভোট পড়েনি। ফলে সর্বসম্মতিক্রমে সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল, ২০১৮ পাস হয়।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫ এর দফা (৩) এর বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী বর্তমানে সংরক্ষিত ৫০টি মহিলা আসনের ১০ বছর মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। এ মেয়াদ বৃদ্ধি না করলে ওই সময় অতিবাহিত হবার পর সংসদে মহিলাদের জন্য কোন আসন সংরক্ষিত থাকবে না। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদেরকে নিয়ে গঠন করতেই সংবিধানের সংশ্লিষ্ট বিধান সংশোধন করে এ বিল পাসের মাধ্যমে মেয়াদ আরো ২৫ বছর বাড়ানো হলো।