নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ‘চতুর্দিকে ষড়যন্ত্র চলছে’ উল্লেখ করে বলেছেন, এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
গতকাল বুধবার কালো দিবস উপলক্ষে বুধবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবরসহ কারা নির্যাতিত একজন ছাত্র, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ২০০৭ সালের বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বলেন, অন্যায়-অপকর্ম করার জন্য এদেশের মীর জাফর, খন্দকার মোশতাকরা আগস্ট মাসকেই বেছে নেয়। চলতি আগস্ট মাসেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আগস্ট মাসে আমরা শোকে মূহ্যমান থাকি ও আতঙ্কিত হই।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। সেদিন আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মদদদাতাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় দেশে ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। সত্য অনুসন্ধান ও সত্য প্রকাশের জন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অসত্যের কোনো জায়গা নেই। তাই উদার ও আলোকিত মন নিয়ে সমাজের অন্ধকার দূর করতে হবে।
এদিকে সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কালো ব্যাজ ধারণ এবং আলোচনা সভা।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখার সময় কতিপয় সেনাসদস্য ছাত্রদের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ছাত্র সমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনাসমর্থিত সরকার সান্ধ্য আইন জারি করে এবং ২৩ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক এবং আটজন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালায়।