নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন মুলুকে শয়তানের উপাসনার অভিযোগে ২২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিলেন কেলার দম্পতির। সম্প্রতি তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন।
ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৪ লক্ষ ডলার দেওয়া হচ্ছে তাদের।
এত বছর পরে বিচার পেয়ে ৬৭ বছরের ফ্রাঙ্ক কেলারের মন্তব্য, ‘আমরা নতুন করে জীবন শুরু করতে পারব। ’ আশির দশকে শয়তানের নানাবিধ কাজকর্মে বিশ্বজুড়ে ভীতি দেখা যায়। গুজবে গুজবে সামান্য ঘটনাও অতিপ্রাকৃতিক হয়ে ওঠে। টেলিভিশন চ্যানেলে এই নিয়ে মুখরোচক খবর প্রকাশিত হয়। বাড়তে বাড়তে নব্বই এর দশকে পুলিশ এবং মনোবিদরা দেখেন, শয়তানের উপাসনার জন্য শিশুদের যৌনতার শিকার হতে হচ্ছে।
আমেরিকায় ডে কেয়ার সেন্টার চালাতেন ড্যান কেলার এবং তার স্ত্রী ফ্রান কেলার। শয়তানের উপাসনার অভিযোগ ওঠে তাদের ডে কেয়ার সেন্টারের বিরুদ্ধে। ডে কেয়ার সেন্টারের শিশুরা একের পর এক অভিযোগ করতে থাকে। কারও অভিযোগ তাদের গায়ে রক্তচোষা জোঁক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারও অভিযোগ তাদের সামনেই এক পড়ুয়ার হৃদযন্ত্র বার করে নেওয়া হয়েছে।
কেউ বলেছে শিশুদের মেক্সিকো উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে সেনাদের সঙ্গে যৌনতায় বাধ্য করা হয়েছে। কেউ বলেছে ডে কেয়ার সেন্টারের জলে শিশুদের হাঙরের সঙ্গে সাঁতার কাটতে হয়েছে। এত অভিযোগ পেয়ে শেষমেশ তদন্তে নামে পুলিশ।
এক তিন বছরের শিশুর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। সেই শিশুটির অভিযোগ ছিল, ড্যান কেলার তার বাড়িতে এসে কুকুরের যৌনাঙ্গ কাটতে থাকে যতক্ষণ না রক্ত বেরোয়। এরপর তাকে একটি কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজন পুলিশের পোষাকে দাঁড়িয়ে ছিল। সে এক ব্যক্তিতে গর্তে ভরে দেয়। এরপর দেহ কুচিকুচি করে কাটা হয়।
পরে প্রমাণিত হয় শিশুটি মানসিক বিকারে ভুগছিল। একটা সিনেমা দেখে সে এসব কল্পনা করেছে। ক্ষতি ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ ২২ বছর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন কেলার দম্পতি।