শৈশবে ফ্রিজে রাখা জরায়ুর সাহায্যে মা হলেন ২৪ বছর বয়সী তরুণী মোয়াজা আল মাতরুশি। বয়ঃসন্ধির আগেই তার জরায়ুর টিস্যু সংরক্ষণ করা হয়।
১৩ বছর পর সেই টিস্যু ব্যবহার করেই লন্ডনের পোর্টল্যান্ড হাসপাতালে মা হয়েছেন মোয়াজা।
আনন্দবাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শৈশবে বিটা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মোয়াজা। এই রোগের ফলে রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা কমে আসে। নয় বছরের মেয়েকে লন্ডনের গ্রেট ওরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে নিয়ে আসেন মোয়াজার বাবা, মা। ভাইয়ের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় তার শরীরে। চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি প্রয়োজন ছিল। কিন্ত তাতে মোয়াজার ৯৯ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি ছিল। মোয়াজার মা জরায়ু ফ্রিজ করার পদ্ধতির কথা জানতেন।
লন্ডন থেকে সুস্থ হয়ে দুবাই ফিরে আসেন মোয়াজা। কয়েক বছর ধরে মা হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ২০১৪ সালে লন্ডনে এসে হরমোন থেরাপি করানোর পরও হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হয়। ২০১৫ সালের অাগস্ট মাসে ফ্রিজে রাখা সেই জরায়ু ফের মোয়াজার শরীরে প্রতিস্থাপন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ডেনমার্কের একদল চিকিৎসক।
ধীরে ধীরে মোয়াজার জরায়ুর অংশ তার শরীরে প্রতিস্থাপন শুরু হয়। তিন মাস পর শুরু হয় আইভিএফ পদ্ধতি। এপ্রিল মাসে গর্ভধারণ করেন মোয়াজা। বিশ্বের প্রথম এই ধরনের চিকিৎসার ইতিহাস গড়ার পর ভবিষ্যতে এই চিকিৎসা আশার আলো দেখাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসা।
ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার অবস্টেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজির চিকিৎসক রিচার্ড অ্যান্ডারসন জানান, এর আগে ফ্রজেন ওভারি থেকে অন্তত ১০০ জন মহিলা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু বয়ঃসন্ধির আগে ফ্রিজ করা জরায়ু টিস্যু থেকে শিশুর জন্ম এই প্রথম।