স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে হামলায় আহত আরাফাত রহমান বিশ্বাস (২১) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন হয়েছেন। প্রতিবেশি পদমদী গ্রামের গোলাম জোয়ারদারের পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে আরাফাতকে কুপিয়ে যখম করা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরাফাতের। কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত শেখপাড়া গ্রামের কুৃটিপাড়ার সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য বিদ্যুৎ হোসেন বিশ্বাসের ছেলে। পুলিশ ও গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, নিহত আরাফাতের পিতা বিদ্যুৎ বিশ্বাস অন্য দুই চাচার জমি কিনে বাড়ি নির্মান করেন। ওই জমি কম টাকায় কিনতে চেয়েছিল পাশ্ববর্তী গ্রামের গোলাম জোয়ারদার। জমি কিনতে না পেরে বাড়িতে যাতায়াতের পথ নিয়ে প্রায় গোলাম জোয়ারদারের সাথে তর্কবিতর্ক হয় বিদ্যুৎ বিশ্বাসের। মঙ্গলবার দুপরে যাতায়াতের পথ ঘেরাকে কেন্দ্র করে গোলাম জোয়ারদার ও তার ছেলে দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী উজ্জল, ভাতিজা সানোয়ার, আনোয়ার ও রাজ্জাক আতর্কিত ভাবে সাবেক সেনা সদস্য বিদ্যুতের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের উপর হামলা চালায়। হামলায় গুরুত আহত হন আরাফাত। প্রথমে শৈলকুপা ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। নিহত’র চাচাতো ভাই লিংকন হোসেন বিশ্বাস জানান, হামলার পর থেকে হত্যাকারীরা পাতক রয়েছে। তিনি বলেন আমার চাচাতো ভাই আরাফাত খুবই নিরিহ প্রকৃতির ছিল। কারো সাথে মিশতো না। প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে কথাও বলতো না। এমন একজন সুবোধ ছিলেকে ওরা তুচ্ছ ঘটনায় খুন করলো। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বজলুর রহমান জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামীরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ফলে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলার পক্রিয়া চলছে। লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর শৈলকুপায় আসবে বলে জানা গেছে।