স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি বিরোধে খয়বার হোসেন খান (৭০) নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে তারই আপন ভাই আলী আলম খান ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ২২ নভেম্বর (রোববার) বিকালে উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের দহকোলা গ্রামে। এঘটনায় শৈলকুপা থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে। এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দহকোলা গ্রামে খয়বারের সাথে তারই আপন ভাই চুয়াডাঙ্গা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আলমের সাথে দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে ২২ নভেম্বর (রোববার) বিকালে আলমের নেতৃত্বে তার দুই ছেলে ডিয়ার খান, ছোটন খান ও সাইদার খান, আক্তার খানসহ প্রায় ৬/৭ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র, রামদা, ডাসা, হাতুড়ী, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে খয়বারের বাড়িতে অর্তকিতভাবে হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। একপর্যায়ে খয়বারের ষাটোর্ধ্ব স্ত্রী বাধা দিলে ডিয়ার, ছোটন ও আফরোজা সুলতানা টফি তাকে মারধরে আহত করে। পরে ঘরে ঢুকে রঙিন টেলিভিশন, আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এছাড়া ওয়ারড্রপের ড্রয়ার ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠে। এসময় ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খয়বার ওইদিন রাতেই শৈলকুপা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। আহত মরিয়ম বেগম জানান, আমার ছেলেরা কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে আলম ও তার ছেলেরাসহ ৬/৭ জন মিলে দফায় দফায় হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। জমি লিখে না দেয়ায় অতর্কিতভাবে তারা এঘটনা ঘটায়। অভিযুক্ত আলমের স্ত্রী আফরোজা সুলতানা টফি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকেই তারা মেরে আহত করে ভাংচুর করে নিজেরাই সবকিছু সরিয়ে দোষারোপ করছে। আমার স্বামীর প্রাপ্য জমি দেয়ার কথা থাকলেও তারা দীর্ঘদিন তালবাহানা করছে। এ বিষয়টির জন্যই তারা মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। দিগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান তপন জানান, ঘটনাটি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। বিষয়টি যদি সত্যি হয় প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখি। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় থানায় একটি এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।