নিউজ ডেস্ক:জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী মর্জিনার একটি কার্ড। আর কত বয়স হলে, আর কত জনপ্রতিনিধি বা নেতাদের কাছে গেলে জুটবে একটি প্রতিবন্ধী বা বয়স্ক ভাতার কার্ড, এমন প্রশ্ন তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মৃত আনসার গোলদারের মেয়ে মর্জিনা খাতুন (৫৫) ছোট থেকেই প্রতিবন্ধী। বাবার মৃত্যুর আগে প্রতিবন্ধী মর্জিনা খাতুন বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর তাঁর বৃদ্ধ মা-ও নিজে চলাফেরা করতে পারেন না। ফলে প্রতিবন্ধী মর্জিনা ভাইদের সংসারে থেকে-খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাঁর ভাইয়েরা একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য বিভিন্ন মহলে ধন্না দিলেও কোনো লাভ হয়নি।
প্রতিবন্ধী মর্জিনার ভাই নুরু গোলদার বলেন, ‘আমার বোনটি ছোট থেকেই প্রতিবন্ধী। তাঁর একটি কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বার, এমনকি স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতা-কর্মীদের কাছে অনেকবার গিয়েছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন বলেন, ‘প্রতিবন্ধী মর্জিনার বিষয়টি আমি জানতাম না। তবে এবার কার্ড বরাদ্দ এলেই প্রতিবন্ধী মর্জিনার কার্ডটি করে দিব।’
জীবননগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবন্ধী মর্জিনার বিষয়টি আমি শুনেছি। তাঁর কার্ডটি যাতে দ্রুত হয়, আমি সেই ব্যবস্থা করব।’