শার্শা (বেনাপোল) প্রতিনিধি,যশোর।। শিশুদের নিজেদের মতো করে ভাবতে, গাইতে দিতে হবে। শিশু আর শিল্পীর কল্পনার কোনও সীমারেখা নেই, সেখানে কোনও সীমারেখা টেনে দেওয়াও বোকামি। তাদের সৃজনশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করতে গেলেই দেশপ্রেমের ঘাটতি দেখা দেবে, যেটা সমাজে নানা অসামাজিক তথা সমাজবিরুদ্ধ কাজের জন্ম দেবে। বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকা নিয়ে মামলা হওয়াতে শিশু মনে সেটা কেমন প্রভাব ফেলবে জানতে চাইলে শিশুদের নিয়ে কাজ করা একাধিক ব্যক্তি এবং শিশুমনোরোগ বিশেষজ্ঞরা এভাবেই বলেন বাংলা ট্রিবিউনকে।
তারা বলেন, একটি শিশুর আঁকা ছবি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিপাকে পড়া নিয়ে যেমন সমালোচনা হচ্ছে, তেমনই যে শিশুর আঁকা ছবি নিয়ে এ কাণ্ড সেই শিশুসহ সব শিশুর মনেও এর প্রভাব পড়বে। শিশু বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এ ঘটনায় অভিভাবকরাও শিশুদের এই সুকুমারবৃত্তি নিয়ে ভাববেন। স্পর্শকাতর বিষয়ে শিশু কী করছে তা নিয়ে সতর্ক হবেন। কোনও ছবি আঁকতে গিয়ে, কোনও গান গাইতে গিয়ে শিশুটি হেনস্তার শিকার হোক-কেউ সেটা চাইবেন না।
প্রসঙ্গত, শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে কার্ড প্রকাশ করায় ছবি বিকৃতির অভিযোগে মামলা হয় বরিশালের আগৈলঝাড়ার ভূতপূর্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারেক সালমানের বিরুদ্ধে। বর্তমানে বরগুনায় দায়িত্বরত এই ইউএনও বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হলে তাকে জামিন না দিয়ে প্রথমে টেনে হিঁচড়ে কারাগারে নেওয়া হয়। অবশ্য সমালোচনার মুখে পরে তাকে জামিন দেওয়া হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রের পেছনের দিকে বঙ্গবন্ধুর ছবি যুক্ত করায় জাতির মানহানি হয়েছে এমন অভিযোগে গত ৭ জুন একটি মামলায় সমনের মুখোমুখি হতে হয় তাকে