নিউজ ডেস্ক:
শিল্প ও সেবা খাতের বার্ষিক টার্নওভার করের ঊর্ধ্বসীমা ৮০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
গতকাল বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রথমদিনে বিসিআই সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এ প্রস্তাব দেন।
আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, মূল্য সংযোজন করের (মূসক) নতুন আইন অনুযায়ী শিল্প ও সেবা খাতের জন্য বার্ষিক টার্নওভার করের ঊর্ধ্বসীমা ৮০ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫ কোটি টাকা উন্নীত করার অনুরোধ করছি। যেসব পণ্য ও সেবা খাতে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান এবং ট্রেড লাইসেন্সধারী প্রতিটি খুচরা ব্যবসায়ীর বার্ষিক টার্নওভার ৩০ লাখ টাকার উপরে অনূর্ধ্ব ৫ কোটি টাকা তারা মূসক আইনে নিবন্ধন গ্রহণ করবে। স্থানীয় মূসক কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় বিষয়টি ১০০ ভাগ নিশ্চিত করবে। ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে টার্নওভার সম্পন্ন পণ্য খাতের যেসব প্রতিষ্ঠান উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করবে তাদের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য হবে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে জন্য ব্যক্তি শ্রেণির আয়করমুক্ত সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করে মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির আয়করমুক্ত সীমা সাড়ে ৩ লাখ করার প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে নারী করদাতা ও ৬৫ বছরের ওপরের করদাতাদের জন্য আয়করমুক্ত সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার রাখার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী করদাতাদের আয়করমুক্ত সীমা ৪ লাখ ২৫ হাজার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের আয়করমুক্ত সীমা ৪ লাখ ৫০ হাজার রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।
এ সময় করপোরেট করহার কমানোর উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব রাখেন। পাশাপাশি নন-পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ৩০ শতাংশ কর দেওয়ার প্রস্তাব করেন। মার্চেন্ড ব্যাংক ক্ষেত্রে করহার ৩৭.৫ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে নন অধ্যাদেশ ১৬বি(এ) ধারা বাতিল করার প্রস্তাব রাখেন। এছাড়াও আয়কর খাতে আরো ছয়টি প্রস্তাব দেন তিনি।
এছাড়া আলোচনায় আমদানি শুল্ক সম্পর্কিত সাতটি প্রস্তাব দেয় বিসিআই।
বাজেট আলোচনা সভার সভাপতি এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, এবারের বাজেটে নারীদের ক্ষমতায়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাজেট হবে রাজস্ববান্ধব। তাই মনে রাখতে হবে আসন্ন বাজেটে যেন রাজস্ব সংগ্রহে কোনো ক্ষতি না হয়। এতএব সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেন।
আলোচনা সভায় এনবিআর ও সংগঠনটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন ।