নিউজ ডেস্ক:
বহির্বিশ্বে স্বার্থান্বেষী মহলের নেতিবাচক প্রচার সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যশনাল কনভেনশন সিটিতে সিইএমএস গ্লোবাল ইউএসএ এবং এশিয়া প্যাসিফিক আয়োজিত ১৮তম আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী ২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
আমু বলেন, তৈরি পোশাক বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। রপ্তানি আয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মূল্য সংযোজন ও জনগণের জীবন মানোন্নয়নে এ খাতের ব্যাপক অবদান রয়েছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ দেশের ট্রেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ধারাবাহিক এবং দৃঢ় রেকর্ড এর অধিকারী। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি এসেছে পোশাক শিল্পখাত থেকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এখাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানির এ চিত্রই প্রমাণ করে যে বহির্বিশ্বে স্বার্থান্বেষী মহলের নেতিবাচক প্রচার সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প নিয়ে অতীতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল, এখনো আছে। এখাতে আমাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঠেকাতে প্রতিযোগীরা তৎপর রয়েছে। তবে কোনো অপতৎপরতা বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি এবং তৈরি পোশাক শিল্পখাতের অগ্রগতিও দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এ শিল্প অন্যতম চালিকা শক্তি। বর্তমানে দেশের গার্মেন্ট শিল্প কারখানাগুলোতে ৪৪ লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ করছে। এর ৮০ শতাংশই নারী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১৩ সালেই শ্রম আইন সংশোধন এবং জাতীয়ভাবে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক নীতিমালা গ্রহণ করেছি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বিশ্বের ১০টি পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে বাংলাদেশের ৭টি প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে।
এ ছাড়া এ শিল্পের উন্নয়নে ইতোমধ্যে তৈরি পোশাকখাতে জ্ঞানভিত্তিক ও হাইটেক গার্মেন্টস্ শিল্প কারখানা গড়ে তোলার কাজ চলছে। এর মাধ্যমে আমাদের উদ্যোক্তারা এখাতে সর্বশেষ উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন। তারা নিজ নিজ শিল্প কারখানায় এগুলো প্রতিস্থাপনে উদ্বুদ্ধ হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।