ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী শিবির নেতা সাইফুল ইসলাম মামুন হত্যার ৮ বছর পর মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নিহত সাইফুলের পিতা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মুচড়াপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ ও সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোপিনাথ কাঞ্চিলালসহ ৯ পুলিশকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও আসামি হয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাসসহ ঝিনাইদহ ও শৈলকুপার ৫ নেতা-কর্মী। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি গ্রামের টুলু মিয়ার বাড়ি থেকে সাদা পোশাকের লোকজন সাইফুল ইসলাম মামুনকে তুলে নিয়ে যায়। নিখোঁজ থাকার ১৭ দিন পর সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মাঠে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার কথা প্রচার করে পুলিশ।
বাদী তার নালিশের বিবরণে উল্লেখ করেন, ১০ থেকে ১৫ নম্বর আসামিগণ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী। তারা জনমনে ত্রাস সৃষ্টি ও শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য শিবির নেতা সাইফুল ইসলাম মামুনকে পুলিশ দিয়ে প্রথমে অপহরণ ও পরে হত্যা করে। আসামিরা প্রভাবশালী ও পতিত সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়ায় এতোদিন বাদী মামলা করতে সাহস পাননি বলে নালিশের বিবরণে উল্লেখ করেন।
ঝিনাইদহের বিজ্ঞ আমলি সদর আদালতের বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করার জন্য ঝিনাইদহ সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদী লুৎফর রহমান বিশ^াস গতকাল বুধবার বিকেলে নিশ্চিত করেন।