নিউজ ডেস্ক:লমডাঙ্গায় শাশুড়ি হত্যার আসামি সিআইডি কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্যকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার আসামি অসীমকে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ অসীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জনা যায়, আলমডাঙ্গায় বিধবা ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাশুড়িকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় সিআইডি কনস্টেবল খুনি অসীম ভট্টাচার্যকে গত বুধবার বিকেল চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ঘোড়ামারা ব্রিজ এলাকা থেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার অসীমকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ভর্তি রাখেন। গতকাল আসামি অসীমকে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আলমডাঙ্গার থানার পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অসীমকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গার থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তার অসীম ভট্টাচার্যকে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তাঁকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার আসীমকে আলমডাঙ্গা থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রথমিকভাবে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের মাদ্রাসা পাড়ার ভাড়াবাসাতে শাশুড়ি শেফালী অধিকারীকে ছুরিকাঘাতে খুন করেন চুয়াডাঙ্গা সিআইডিতে কর্মরত কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে স্ত্রী ফাল্গুনী অধিকারী ও শশুর আনন্দ অধিকারীকেও খুনের উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে জখম করেন অসীম। পরে আহত অবস্থায় আসামির স্ত্রী ও শশুরকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া আড়াই শ বেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত অসীম ভট্টাচার্য। অবশেষে ঘটনার পাঁচ দিন পর পুলিশের হাতে আটক হলেন ঘাতক অসীম।