মেহেরপুরে ইজিবাইক চালকদের সড়ক অবরোধ
নিউজ ডেস্ক:ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ভাংচুর ও চালককে মারধর করার প্রতিবাদে মেহেরপুরে প্রায় তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে ইজিবাইক চালকরা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে ওই কর্মসূচি শুরু করেন ইজিবাইক চালকরা। এই অবরোধ চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এ সময় ইজিবাইক চালকদের নেতারা বলেন, বিভিন্ন সড়কে বাস মালিক সমিতির লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় আবারো আন্দোলনে যাবেন তারা। এদিকে তাদের এই অবরোধে ওই শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প পথে চলাচল করলেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ দিন দুপুর ২টার দিকে পুলিশের মধ্যস্থতায় অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুদ্ধ ইজিবাইক চালকরা। মেহেরপুর ইজিবাইক চালক সমিতির সভাপতি আনোয়ার ইসলাম বলেন, বাস মালিক সমিতি কয়েকটি সড়কে শ্রমিক দিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। তারা সব সময় লাঠি দিয়ে ছোট যানবাহনের মালিকদের মারধরের হুমকি দেয়। মাঝে মাঝেই ইজিবাইক ও অন্যান্য যানবাহন চালকদের মারধর করে। কাথুলী সড়কের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ইজিবাইক চালককে মারধর করে বাস মালিকদের শ্রমিকরা। ইজিবাইক ভাংচুরও করে তারা। মেহেরপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বলেন, মেহেরপুর কাথুলী সড়কে ১৫টি ইজিবাইক চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ইজিবাইকরা আরো ১৫টি গাড়ি চালানোর দাবি করে তারা সড়কে জোরপূর্বক গাড়ি চালাতে গেলে আমাদের সদস্যদের সাথে তাথে বাকবিতন্ডা হয় এবং লেগুনার দুই জন চালককে পিটিয়ে আহত করে। বাস মালিক সমিতির কয়েকজন সদস্য বলছে, দূরের গন্তব্যে ইজিবাইকে যাত্রী পরিবহনের ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বাস মালিকরা। আঞ্চলিক মহাসড়কে ইজিবাইকসহ সব ধরনের অবৈধ যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মেহেরপুরে এর অবাধ চলাচল রয়েছে। এ কারণে বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে শহরের বাইরে ইজিবাইকে যাত্রী পরিবহনে বাধা দেওয়া হয়। মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান বলেন, ইজিবাইক চালকরা এখনো কোনো মামলা দেয়নি। মামলা দিলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে।