জজ আদালতের সরকারি কৌশুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান হত্যা একটি নৃশংশ ঘটনা। রায়ের সময় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী একেএম হুমায়ুন কবির বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামিদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। হত্যার সঙ্গে আসামিরা জড়িত আছে বলে আদালতে প্রমাণ হয়নি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
ফাঁসির দ-প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলেন মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি, মো. মুক্তার ও মো.শাহজালাল।
আদলত সূত্র জানায়, নিহত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মান্নানকে জবাই করে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ৪ দিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানী শেষে হত্যাকান্ডের সঙ্গে আসামিরা জড়িত রয়েছে বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।