মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ-
লক্ষ্মীপুরে সুবিধাবঞ্চিত অসহায় শত শত মানুষের ঈদবস্ত্র ব্যক্তিগত দখলে নিয়েছেন দিঘলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাবুল। অভিযোগ রয়েছে, দিঘলী ইউনিয়নের প্রায় ৯শ’ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ঈদবস্ত্র হিসেবে দেওয়া শাড়ি ও লুঙ্গি কৌশলে কব্জা করেছেন তিনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুবিধাবঞ্চিতদের অনেকে। নেতাকর্মীদের অনেকে বলছেন, এটা দলের জন্য মোটেও কল্যাণকর নয়।
রোববার (১০ জুন) দুপুরে দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদে মাত্র ২০ জনকে দেখিয়ে এসব ঈদবস্ত্র নিজের দখলে নেন তিনি।
জানা গেছে, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি’র ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুরের সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ২০ হাজার মানুষের মাঝে ঈদবস্ত্র হিসেবে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুর-০৩ আসনের বিভিন্ন ইউনিয়নে সফর করে এসব ঈদবস্ত্র সুবিধাবঞ্চিতদের হাতে তুলে দিয়েছেন বিমানমন্ত্রী। এ মানুষ গুলোর মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্যই তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আর মন্ত্রীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষজন।
এ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নে প্রায় ৯শ’ শাড়ি ও লুঙ্গি দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে মন্ত্রী দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাবঞ্চিতদের হাতে এসব ঈদবস্ত্র তুলে দেওয়ার কথা ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, দিঘলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল কৌশলে চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে মাত্র ২০ জনকে পরিষদে ডেকে নেন। পরে মন্ত্রী এদের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করে চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সুবিধাবঞ্চিত মানুষ জানান, আওয়ামী লীগ ও সরকারের পক্ষ থেকে আসা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে এভাবেই আমাদের বঞ্চিত করে স্থানীয় নেতারা। আজ যেমন করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল।
দিঘলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাবুল বলেন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাকি শাড়ি ও লুঙ্গি গুলো বিতরণ করবে। যে কারণে সবাইকে পরিষদে ডাকা হয় নি। তবে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি, পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার জন্য ৩০০ লুঙ্গি-শাড়ি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মুজিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, মন্ত্রীর দেওয়া এসব ঈদবস্ত্র নেতাকর্মীদের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে আমার মাধ্যমে কি পরিমাণ ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হবে তা আমার জানা নেই।