মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে দলীয় কয়েক সহকর্মী কুপিয়ে জখম করেছে। রবিবার রাতে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া তুলাতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন হসপিটালে চিকিৎসাধীন আহত নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহতরা হলেন- চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. ফাহাদ, ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন, মোরশেদ, রায়হান ও সাকিবসহ ৬ জন। তারা সবাই স্থানীয় বাসিন্দা। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হসপিটালে চিকিৎসাধীন আহতরা জানায়, রবিবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের তুলাতলা এলাকার একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিল ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও তার সহকর্মীরা।
এসময় তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। লাঠিসোটা ও দারালো অস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৫/২০ জনের একটি দল এ হামলার ঘটনাটি ঘটায়। এসময় ছাত্রলীগ নেতা নোমান হোসেনসহ ৬ নেতাকর্মীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন আহতাবস্থায় ৬ নেতাকর্মীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
আধিপত্য বিস্তার ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রুপিং থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
আহতদের অভিযোগ, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর অনুসারী ও কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এম মাসুদের নেতৃত্বে এম সজিব, এম তারেক, কাজী আল আমিনসহ ১৫/২০ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটায়।
এদিকে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মাহফিলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছেলেদের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।