নিউজ ডেস্ক:
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ইমরান হোসেন সুকু(১৭) নামে এক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যুা ঘটনা ঘটেছে। তবে সহকর্মী শ্রমিকরা বলছে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৫মে মঙ্গলবার সাড়ে ৫টার দিকে লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়কে হাতিয়াছড়া নির্মানাধীন ব্রিজের পাশের থাকার ঘরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রানা বিল্ডার্স এর সত্বাধীকারী জাকির এন্টারপ্রাইজ এর লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়কে ব্রিজ নির্মাণ কাজে ১০জন শ্রমিক প্রতিদিনের মত কাজে যোগ দেয়। প্রচন্ড পানির পিপাসা লাগলে ইমরান হোসেন সুকু(১৭) পানি আনতে ঘরে যায়। ফিরে না আসায় সহকর্মী দু:খু মিয়া ঘরে গিয়ে দেখে ইমরান হোসেন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এই অবস্থা দেখে জোড়ে চিৎকার করলে বড় ভাই দিপু মিয়া দৌড়ে যায়। পড়ে দ্রুত লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার উম্মে ছালমা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছে। আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় নি। গলায় ফাঁস দেয়ারও কোনো লক্ষন দেয়া যায় নি।
ঠিকাদারের নিজস্ব প্রকৌশলী তপু আহমেদ জানান, ঘটনাটি শোনার পর সেখানে যাই। এ বিষয়ে আমি আসলে কিছুই বলতে পারছি না।
লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাটি জানার পর তদন্ত কাজ শুরু করেছি। শ্রমিক ১০জনকে আটক করে জিগ্যাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা মামলা নিচ্ছি। বড়ভাই দিপু মিয়া বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করলে অপমৃত্যু মামলা (মামলা নং ০১. তাং ৫.৫.২০২০ই)। লাশ ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আসলে আত্মহত্য না হত্যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা থেকে গত আড়াইমাস আগে এখানে শ্রমিকের কাজে আসে। তার পিতার নাম মো: নজির হোসেন। মনতলা গ্রামে নিজ বাড়ি।
এর আগেও লক্ষ্মীছড়ি থানা সংলগ্ন ব্রিজে কাজের সময় এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। পর পর এ মৃত্যুর ঘটনা প্রকৃত রহস্য কী তা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমেই বেড়িয়ে আসতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করে।