মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষীপুরের রামগতিতে কহিনুর বেগম নামে এক যুবতীকে তুলে নিয়ে ধর্ষনের পর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার ভোররাতে রামগতি উপজেলার পশ্চিম চরকলাকোপা এলাকার একটি ফসলের মাঠ থেকে তার উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েঠে পুলিশ। নিহত যুবতী সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের নুর করিমের মেয়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কথিত প্রেমিক দুলাল হোসেনকে আটক করছে পুলিশ। সকালে চরমনসা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শনিবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে ঘুরার কথা বলে মোবাইল ফোনে কহিনুর বেগমকে ডেকে নেয় প্রেমিক দুলাল। পরে রামগতি উপজেলার চরবাদাম এলাকায় রাতের যে কোন সময় ধর্ষনের পর হত্যা করে পশ্চিম চরকলাকোপা এলাকায় একটি ফসলের মাঠে কহিনুর বেগমের লাশ ফেলে চলে যায় দুলালসহ অজ্ঞাতরা। রোববার গভীররাতে ফসলের মাঠে কহিনুর বেগমের লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এদিকে আটককৃত দুলাল হোসেন সদর উপজেলার চরমনসা এলাকার হেজু মিয়ার ছেলে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিছুল হক জানান, কহিনুর বেগমকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আরো কারা জড়িত ছিল, সে বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।