নিউজ ডেস্ক:
ওয়াশিংটন ডিসি’তে বাগডিসি’র (বাংলাদেশ এসোশিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি) উদ্যোগে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিবাদে এবং এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনায় অনুষ্ঠিত হল এক মানববন্ধন।
এ সময় বক্তারা উল্লেখ করেন, গত কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর অমানবিক অত্যাচার শুরু হয়েছে, যা শুধু বাংলাদেশই নয়, গোটে বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
নির্বিচারে গুলি করে হত্য করা হচ্ছে হাজারো রোহিঙ্গাকে, রোহিঙ্গা নারীদের ওপর চালানো হয় মর্মান্তিক পাশবিক অত্যাচার, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়া হয় গ্রামের পর গ্রাম। প্রাণ বাঁচাতে ভিটে-মাটি ছেড়ে সহায়-সম্বলহীন অবস্থায় দুর্গম পথ পেড়িয়ে, নদী পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাড়ে চার লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা আশ্রয় গ্রহণ করেছে বাংলাদেশে। এমন অত্যাচারের ইতিহাস অতীতকে সামনে টেনে নিয়ে আসে, স্মরণ করিয়ে দেয় ’৭১-এর গণহত্যাকে। এটা মূলতঃ কোন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ইস্যু নয়- এটা একটি মানবিক ইস্যু এবং পুরো বিশ্বের এগিয়ে আসা উচিৎ এই গণহত্যারোধে”।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওয়াশিংটন প্রবাসী বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে কানেক্টিকাট এ্যভিনিউ সংলগ্ন উন্মুক্ত প্রান্তরে জমায়েত হতে শুরু করে। প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন এবং ব্যানার হাতে মিয়ানমারে সংগঠিত গণহত্যার বিরুদ্ধে সবাই একযোগে স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানায় এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ সকলেই এই বর্বরতার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং অং সান সু চি ও তার নোবেল প্রাপ্তির বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করা হয়। বিশেষ করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউনাইটেড নেশন্সের কাছে অনতিবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে আবেদন জানান হয়।
এরপর সবাই স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং-এর সামনে উপস্থিত হয়ে আবার স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানায় এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এরপর সেখান থেকে সবাই যান মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে। একইভাবে মিয়ানমার দূতাবাসের সামনেও গণহত্যার প্রতিবাদ জানানো হয় স্লোগান তুলে। দূতাবাসের অফিস ভবনের প্রধান দরজা বন্ধ থাকায় এবং কোন কর্মকর্তা বাইরে না আসায় সরাসরি তাদের হাতে স্মারকলিপি দেয়া সম্ভব হয়নি।
এ কর্মসূচিতে ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, পেশাজীবি, সাংবাদিকসহ অনেক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ড. মনসুর, মোহামদ আলমগীর, এ্যন্থনী পিউস গমেজ, নুরল আমিন নুরু, রোকসানা পারভীন, পারভীন পাটোয়ারী, নাইম রহমান, আবু রুমী, আক্তার হোসেন, কবীর পাটোয়ারী, মোহাম্মদ মোস্তফা, মাহমুদুন নবী বাকী, রেদোয়ান চৌধুরী, নেসার আহমেদ, সুলতান চোধুরী, রোমিও হক, রফিকুল ইসলাম আকাশ, জীবক বড়ুয়া, শেখ সেলিম, আলতাফ হোসেন, জাকির চৌধুরী, জাহিদ রহমান, ডেলিগেট বেলাল আলী, মুনির হোসেন প্রমুখ।