নিউজ ডেস্ক:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম করতে সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারকে জোরদার পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলাকালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরতে এবং রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ব্যক্তিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য ও সুবিধা প্রদানের আহবান জানিয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সেখানে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের গুরুত্বের ব্যাপারে চাপ অব্যাহত রেখেছে।’
মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ দূত ক্রিস্টিন স্কর্নার বার্জানার বলেন, সরকার রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে যাওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরে আনার ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আগাচ্ছে।
বার্জানার বলেন, ‘সরকারি কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে যে তারা রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে আনতে চায়।’
তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, সেখানে সংখ্যালুঘু মুসলিম রোহিঙ্গা ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ দূত বলেন, এ ব্যাপারে মিয়ানমারের নেতা অং সান সুকির সঙ্গে অত্যন্ত গঠনমূলক, স্পষ্ট ও অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
বার্জনার বলেন, সুকি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা ও চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে সজাগ রয়েছেন। এ সংকট মোকাবেলার বিষয়টিতে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ জাতিসংঘ দূত এ সংকট সামাধানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ইতোমধ্যে দু’বার মিয়ানমার সফর করেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তার আবারো মিয়ানমার সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। মাত্র দু’মাস আগে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সীমান্ত ফাঁড়িতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে প্রায় এক বছর আগে চালানো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভিযানে সাত লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।