নিউজ ডেস্ক:
বিয়ের পর দম্পতিদের উচিত হিংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে নিজেকে সামলে নেওয়া। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীটি দারুণ হিংসা মনে পুষে রাখেন। তিনি আপনাকে ছাড়া আর সব কিছুকেই যেন তার ঈর্ষার তালিকায় ঠাঁই দিয়েছেন। এখানে দেখে নিন এমন সঙ্গী-সঙ্গিনীর কিছু সাধারণ লক্ষণ। তাদের এসব কাজে বোঝা যায় যে, সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন এবং তিনি বেশ হিংসুটে।
১. যখন আপনি একা বাইরে যান, তখন সঙ্গী-সঙ্গিনী আপনাক ক্রমাগত ফোন দিতে থাকেন। অর্থাৎ, আপনি কখন কোথায় যাচ্ছেন তা বুঝতে চাইছেন তিনি। এটা নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ তো বটেই।
২. আপনার বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু বা সহকর্মী থাকলে সে বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেবেন না তিনি। তাদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া বা কোথাও যাওয়ার কথা শুনলেই তার মন হিংসায় ভরে উঠবে। মাঝে মাঝেই আপনি বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু ও সহকর্মীদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হবেন।
৩. আপনি ছেলে হলে কোনো নারী সেলিব্রিটিদের নিয়ে প্রশংসামূলক কিছু বললে আপনার সঙ্গিনী মোটেও তা মেনে নিতে চাইবে না।
৪. আপনাকে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে দিতে চাইবেন না। দূরে ভ্রমণের পরিকল্পনা হলে তিনি কোনোভাবেই আপনাকে ছাড়বেন না।
৫. আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মানুষের আশপাশে আপনাকে দেখতে চান না আপনার সঙ্গী-সঙ্গিনী। বিশেষ করে বিপরীত লিঙ্গের দিকে নজর দিলেই তিনি আপনাকে ধরে বসবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলা বা চলফেরা মোটেও পছন্দ করেন না তিনি।
৬. আপনার বাড়ির লোকজন বেড়াতে এলেই তার মুখ কালো হয়ে যাবে। তিনি সহজে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নেবেন না।
সহজ কথায় বলা যায়, আপনার সঙ্গী-সঙ্গিনী হিংসুটে কিনা তা বোঝার এইগুলোই সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। একটু দেখুন এবং মানিয়ে চলুন।