জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর গ্রামের বাক প্রতিবন্ধি রিপন হোসেন এখন কারো মুখাপেক্ষি নয়। কথা না বলতে পারলেও চায়ের দোকান করে দীর্ঘ কয়েক বছর ব্যবসা করে চলেছেন। এরই মধ্যে কয়েক বছর ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা-শান্তি। বাজারের বেশ কিছু সাধারন ব্যবসায়িরা জানান, সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপালপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে রিপন হোসেন জন্ম থেকেই বাক-প্রতিবন্ধি। লেখা পড়ার প্রতি ছিল তার মাত্রাধিক আগ্রহ। কিন্তু কথা বলতে না পারার কারনে সে বেশি দুর এগোতে পারেনি। শিখেছেন সকল হিসাব নিকাশ ও ব্যক্তি বর্গের নাম লেখা। ছেলের এমন অবস্থায় পরিবারের অবিভাবকেরা ছিল চিন্তিত। এক পর্যায়ে গ্রামের বাজারেই একটি চায়ের দোকান দিয়ে সে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম দিকে ব্যবসা করতে পারা আর না পারা নিয়ে চিন্তায় ছিল তার অভিভাবকেরা। কিন্তু প্রথম দিকে একটু সমস্যা মনে হলেও ধিরে ধিরে স্বাভাবিক ব্যাক্তির মতই ব্যবসা করে চরেছেন। দোকানের সকল বিক্রেতা ক্রেতাদের সাথে ইশারা, ইঙ্গিত আর লেখনীর মাধ্যমে সকল হিসাব নিকাশ করছেন। স্বাভাবিক আর দশ জন ব্যবসায়ির মতই সে ব্যবসা করছেন। এখন তার সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। স্থানীয় ব্যবসায়ি মহিউদ্দিন জানান, বাক প্রতিবন্ধিদের প্রতি অবহেলা না করে অভিভাবকেরা তার সন্তানকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করলে তারাও সমাজের আরো দশজন ব্যাক্তির মত স্বভাবিক ভাবে জীবন-যাপন করতে পারেন এটাই তার প্রমান করে।