নিউজ ডেস্ক:
আপনি আমি তো রাতদিন মশার কামড় খাচ্ছি। তাই বলে মশার কামড় খাওয়ার প্রতিযোগিতা! শুনতে অবাক লাগলেও এই প্রতিযোগিতার হয় রাশিয়ার বেরেজনিকি শহরে। বিচারকরা রীতিমত বিচার করেন কে কটা কামড় খেল ।
রিও অলিম্পিকে যখন কয়েকজন অ্যাথলেটিক গেমস ভিলেজ ছেড়ে পালিয়েছেন মশার কামড়ের ভয়ে তখন ভাবতে পারছেন অনেকেই সেধে মশার কামড় খাচ্ছেন প্রতিযোগিতায় এসে!
ভাবা যায়.. মশা তাড়ানোর জন্য কতই না কসরত্ করেন আপনি! মশার কয়েল জ্বালানো থেকে শুরু করে রেপেলেন্ট..কিছুই বাদ রাখেননি । আর সেই মশা নাকি আপনি বা আপনার সন্তানের পায়ে কামড়াবে আর আপনি দাঁড়িয়ে দেখবেন। তাও নাকি একটা সেরামিক কাপের জন্য!
ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাসের ভয় কাটিয়ে প্রতিযোগীদের মধ্যেও উৎসাহের বিন্দুমাত্র ঘাটতি নেই। উড়াল পর্বতের বেরেজনিকি শহর আয়োজন করে এই প্রতিযোগিতার। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিযোগীদের শর্টস, ট্যাঙ্ক টপ পরে চেরি ফল পাড়তে বনে যেতে হয়। ফিরে আসার পর তাদের পর্যবেক্ষণ করেন বিচারকরা। যার শরীরে যত বেশি মশার কামড়ের দাগ, সে তত এগিয়ে থাকে। প্রতিযোগিতার বিজয়িনীকে বলা হয় “TASTIEST GIRL’। বিজয়ী হওয়ার জন্য তাকে সহ্য করতে হয় একের পর এক মশার কামড়। বিজয়ীর উপহার সেরামিক কাপ! পুরষ্কার থাকে BEST MOSQUITO COSTUME এবং MOSQUITO THEMED SOUVENIR-র জন্যও। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে মশা-ই “হিরো’। তাকে কেন্দ্র করেই এমন আজব উৎসব।
রাশিয়া ঠাণ্ডার দেশ। মশাবাহিত রোগও এখানে অনেক কম। তাই এই উৎসবের কোনও কুফল নেই। যদি ভেবে থাকেন কী অদ্ভুত কাণ্ড! তাহলে কিন্তু ভুল করবেন। শুধু রাশিয়া নয়, টেক্সাসেও প্রায় একই ধরণের উৎসব পালিত হয়। নাম BEST LOOKING MOSQUITO LEGS।