ঘটনাটি পুর্ব লন্ডনের।
২০২৩ সালের ২৯ এপ্রিল স্ত্রীর বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখে, স্ত্রী সোমা বেগমকে (২৪) শ্বাসরোধে হত্যা করেন অভিযুক্ত আনিনান রহমান। নিহতসোমা বেগম দুই বছর বয়সী এক ছেলে ও দুই মাস বয়সী এক কন্যায়র জননী। সন্তানেরা বর্তমানে ব্রিটিশ সরকারের স্যোশাল সার্ভিসের (সামাজিক নিরাপত্তা সেল) হেফাজতে রয়েছে। সোমা বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মামুনপুর গ্রামের মৃত ঠাকুর মিয়ার মেয়ে।
কোর্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ইসলামিক রীতি মেনে টেলিফোনে সোমা বেগম এবং আনিনান রহমানের বিয়ে হয়। এরপর ২০২২ সালের মাঝমাঝি সময়ে সোমা বেগম স্বামীর কাছে আসেন। এই দম্পতি প্রথম দিকে সামারসেটের ডকল্যান্ডে একটি ফ্লাটে, দুই সন্তানসহ থাকতেন। পরে ২০২৩ সালে পূর্ব লন্ডনে চলে আসেন।
নিহত সোমার স্বামী আনিনান রহমান পেশায় একজন রাঁধুনী ছিলেন। কোর্ট বলছে, তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে একটা বয়সের ব্যবধান ছিলো। সম্ভবত এই কারণেই সোমা বেগম তার সমবয়সী একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ব্যাপারটি যখন স্বামীর নজরে আসে, তখন তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এসময় ভিডিওকলে রাখেন স্ত্রীর বন্ধুকে। যিনি ছিলেন দুইবায়ের বাসিন্দা। কোর্টে বিচারের সময় সোমা বেগমের সেই বন্ধুকেও হাজির করা হয়। তিনি বিচারকের সামনে
ভিডিওতে দেখা সোমা বেগম হত্যার বর্ননা দেন। তিনি জানান, আনিনান রহমান তাকেও হত্যার হুমকি দেয়।
আদালতে বিচারক বলেন, ২৪ বছর বয়সী সোমা বেগম একজন ভালো মা ছিলেন। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছিলো। কিন্তু পাষণ্ড স্বামী আনিনান রহমান তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। সেই এই হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিতে মিথ্যার জাল বুনেছিলো। কিন্তু পারেনি। আদালত তাকে ২২ বছরের কারাদন্ড দিচ্ছে এবং সে ২২ বছরের আগে কখনোই সাজা মওকুফের জন্য আবেদন করতে পারবেনা।