নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ৯৬ সালে জেলখানায় রাতের আধাঁরে একটি প্রস্তাব এসেছিল। রাত দুটোয় বিএনপি বলেছিল, আপনারা যা চাইবেন তাই দেবো, আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় আনবেন না।
কিন্তু আমি বলেছিলাম, তোমরা আমাদের উপর অবিচার করেছো, চরম অত্যাচার করেছো, তোমাদের সমর্থন দেবো না। শেষ পযন্ত বিএনপিকে সমর্থন দেইনি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
তিনি দু:খ করে বলেন, ‘সেদিন আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিলাম, সমর্থনের কারণে তোমাদের কাছে কি পেলাম। শেষ পর্যন্ত আমাকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হলো। ছয়মাসের জেল জরিমানা হলো। সমর্থন দেওয়ার জন্য এই প্রতিদান পেলাম।
আমরা যদি শক্তি সঞ্চয় করি, দলকে শক্তিশালী করি, মানুষের কাছে যাই, তাহলে নিজেদের যোগ্যতায় আমরা ক্ষমতায় যাবো। তখন আমাদের আর কেউ ঠেকাতে পারবে না।‘
মানুষের ভালবাসায় জাতীয় পার্টি এখনো ঠিকে আছে উল্লেখ করে দলটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্ষমতা ছাড়লাম, তারপর ইতিহাস কি দু:খের। বিএনপি অত্যাচার করলো, জেলে আটকে রাখা হলো। একদিনও রাতে ঘুমাতে পারিনি, এত অত্যাচার সহ্য করছি মানুষকে ভালবাসি বলে। আর মানুষের ভালবাসায় জাতীয় পার্টি এত অত্যাচারের পর আজো ঠিকে আছে।’
মানুষের দুয়ারে জাতীয় পার্টির শাসনামলের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
খুব শিগগিরই ইসলামী সমমনা দল নিয়ে জোট গঠনের কথাও জানান এরশাদ। তিনি বলেন, ‘দেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। আমি একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফরম করবো। অনেক দল আসছে। তাদের সবাইকে নিয়ে জোট করবো, নির্বাচন করবো।’
যুবসংহতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ফকরুল আহসান শাহজাদার সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ, পার্টির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশউর রহমান রাঙ্গা, জাপা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মহানগর উত্তর সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী, নূরে হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, সুনীল শুভরায়, ইকবাল হোসেন রাজু, রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, দিদারুল আলম দিদার, আরিফ খান, নুরুল ইসলাম নুরু, সরদার শাহজাহান, মহিলা পার্টির সেক্রেটারি অনন্যা হোসেন মৌসুমী, যুবসংহতির আবু সাইদ স্বপন, মিয়া আলমগীর, হেলাল উদ্দিন।