জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমাইয়াসহ আহত ৪
নিউজ ডেস্ক:মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে রুবেল গ্রুপের হামলায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমাইয়া আক্তারসহ চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অপরাজিতা অধিকারী, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সাফিউল্লাহ, একাদ্বশ শ্রেণির ছাত্র মোকিম উদ্দিন। আহত ব্যক্তিরা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, কয়েক দিন ধরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কুদরত-ই খোদা রুবেল ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার জানান, ‘কলেজের ছাত্র না হয়েও কুদরত-ই খোদা রুবেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ ধরে রেখেছে। ক্ষমতা ব্যবহার করার জন্য সে বিভিন্ন সময়ে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ভয়ভীতি দেখায়। কয়েক দিন আগে রুবেল গ্রুপের কয়েকজন ছেলে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আমিসহ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অপরাজিতা অধিকারীকে কটু কথা বলে। তার প্রতিবাদ করলে বাগবিত-ার সৃষ্টি হয়। পরে আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় তারা। আজ (গতকাল) কলেজে এলে পুনরায় তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রুবেল ও কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভনের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে সাফিউল্লাহসহ তিনজন আহত হয়।’
এ দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কুদরত-ই খোদা রুবেল জানান, ‘আজকের (গতকাল) ঘটনার সময় আমি ও শোভন দুজনের কেউ কলেজে ছিলাম না। আমরা জেলা পরিষদের একটি মিমাংসায় ছিলাম। রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কথাকাটাকাটির জের ধরে কয়েক দিন পূর্বে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমাইয়া একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে পায়ের হিল দিয়ে মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলতে গেলে সে আমার বিরুদ্ধে লাগে।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন জানান, ‘জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একটি অভিযোগ করেছেন। ওই ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং তদন্ত সাপেক্ষে আমরা কলেজ শাখার সভাপতি অভিযুক্ত কুদরত-ই খোদা রুবেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক শোভনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইতিমধ্যে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
এ ঘটনায় সুমাইয়া আক্তার মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিল্লুর রহমান জানান, ‘মারামারির ঘটনা শুনে আমরা কলেজে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।