নিউজ ডেস্ক:
উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মিতব্য প্রথম ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট বা মেট্রোরেলে যাত্রীসেবা দেয়ার জন্য ২৪ সেট ট্রেন কেনা হচ্ছে। ট্রেনগুলো সরবরাহ করবে জাপানের কাওয়াসাকি-মিৎসুবিশি।
মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা জানান, গত এপ্রিলেই জাপানে মেট্রোরেলের প্রথম ট্রেনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। জাপান ও বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ট্রেনটি বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে। দেশে আনার পর ‘ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট’ ও ‘ট্রায়াল রান’ করা হবে।
এছাড়া জাপানে আরো চার সেট ট্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই পাঁচ সেট ট্রেন বাংলাদেশে সরবরাহ করবে জাপানের ওই দুটি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, এই ২৪ সেট ট্রেন দাম, শুল্ক ও ভ্যাট মিলে বাংলাদেশে আনতে খরচ হবে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে এক সেট ট্রেনের দাম পড়ছে ১৭৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
সরকারের আগামী বছরের শেষ নাগাদ মেট্রোরেল চালুর লক্ষ্য রয়েছে। যদিও নির্মাণকাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি (জুলাই পর্যন্ত) ৪৭ শতাংশ। করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতি প্রকল্পের কাজ শ্লথ করে দিয়েছে। এরপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার প্রত্যাশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।
দেশের প্রথম মেট্রোরেলের ট্রেনগুলোর একটা ধারণা দিতে এরইমধ্যে একটি ‘মক আপ’ ট্রেন দেশে আনা হয়েছে। উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রোরেল ডিপোর এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে ‘মক আপ’ ট্রেনটি স্থাপন করা হয়েছে। এটি সাধারণ মানুষের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
উত্তরা-মতিঝিল মেট্রো লাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। নির্মাণকাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা-আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।